Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এমপি লিটন হত্যা ৪৮ দিনেও রহস্য উম্মোচিত হয়নি : জনমনে হতাশা-আতঙ্ক

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা-১, সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তের হাতে খুন হধওয়ার ৪৮ দিন পেরিয়ে গেলেও খুনের রহস্য উম্মোচিত হয়নি। ধরা পরেনি প্রকৃত খুনিরা। এজন্য চরম হতাশায় ভুগছেন মরহুম এমপির পরিবার পরিজন। অপরদিকে হতাশা ও আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ জনগণ। বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে উঠেছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দ ও সচেতন মানুষ। তাদের আশঙ্কা যদি প্রকৃত খুনিরা ধরা না পরে তাহলে ওই খুনিরা সুন্দরগঞ্জের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমপি লিটন খুন হওয়ার পর থেকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, পিবিআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তীক্ষè মেধাসম্পন্ন বিশেষায়িত দল হত্যাকাÐের মূলরহস্য উদ্ঘাটনসহ খুনিদের গ্রেফতারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। এই তৎপরতার জের ধরেই হত্যাকাÐের সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমপির স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, শ্যালক বেদারুল আহসান বেতার, মামলার বাদী ফাহমিদা বুলবুল কাকলী, বড় বোন আফরোজা বারীসহ নিকটতম আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, দলীয় সহচরদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এছাড়া এমপির ব্যক্তিগত গাড়ি চালক খন্দকার ফোরকান আলী ও কাজের লোক ইউসুফ আলীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে। অপরদিকে খুনের আগে এমপির বাড়ির উঠানে ক্রিকেট খেলারত সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুয়েলকেও থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলার বাদীসহ এমপির পরিবারের দাবি খুনিরা কেন নিজ বাড়িকেই নিরাপদ মনে করে খুন করে গেল। খুনের সময় এমপির অতন্দ্র প্রহরী জার্মান শেফার্ড কুকুর দুটি ছিল না কেন? গুলির সময় কেন এমপির কাছে কেউ গেল না? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন তাদের মনে সন্দেহের দানা বেঁধেছে। তারা বেশি বিচলিত হয়েছেন নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীরা কেউ কেন তার পাশে ছিল না প্রতিদিনের মতো।
বছরের শেষ দিন থার্টি ফাস্ট নাইটের প্রথম প্রহরে (সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা) এমপি লিটন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নতুন বছরের প্রথম দিনে থানার প্রথম মামলাটি রেকর্ড হয় এমপি খুনের। এমপির ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী অজ্ঞাত পরিচয় ৫ জনকে আসামির পাশাপাশি জামায়াত শিবিরের উপর দোষ চেপেছেন মামলায়।
এঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হায়দার মো: আশরাফুজ্জামান জানান আমরা এমপির হত্যা ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করছি। আমরা সর্বোচ্চ মেধা ঘাটিয়ে বিভিন্ন কৌশল বিবেচনায় নিয়ে খুনের জট খোলাসহ খুনি গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন ভাড়াটে খুনির ব্যাপারটিও মাথায় রেখে ইন্ধনদাতা ও অর্থদাতাদের সন্ধানে রয়েছি। থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানান, আমাদের চেষ্টার ত্রæটি নেই। তবে হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত হওয়ায় খুনের জট খোলার বিষয়টি সময় সাপেক্ষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ