Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাংশায় বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থী নেতা নিহত

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : গতকাল শুক্রবার ভোররাতে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের নাওড়া বনগ্রাম তিন রাস্তার মোড় এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মোয়াজ্জেম নামে এক চরমপন্থী নেতা নিহত হয়েছে। সেই সাথে আহত হয়েছে চার পুলিশ সদস্য।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার আশুলিয়ার জিরানী বাজার এলাকা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার কাছে থাকা অস্ত্র ও গুলির কথা স্বীকার করলে মোয়াজ্জেমকে নিয়ে শুক্রবার ভোররাতে অভিযানে যায় পাংশা থানাপুলিশ। এ সময় সরিষা ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে মোয়াজ্জেম বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় মোয়াজ্জেমকে পাংশা হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্য ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান সুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও দু’টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
চরমপন্থী মোয়াজ্জেম ফকির পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মজিদ ফকিরের ছেলে। সে পাংশা উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী বিপুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। দীর্ঘ দিন বিপুল বাহিনীর প্রধান বিপুল ভারতে পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে পুরো বাহিনী চালিয়ে আসছিল মোয়াজ্জেম। মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে ওই বাহিনী পাংশা ও কালুখালী উপজেলায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাÐ চালিয়ে আসছিল। মোয়াজ্জেম পাংশা উপজেলায় গত ১৫ ফেব্রæয়ারি ২০১৩ একই দিনে মানিক ও শহীদ নামে দুই যুবককে চাঁদা না পেয়ে হত্যা করে। এরপর গত ৪ জুলাই ২০১৩ ব্যবসায়ী ডালিমকে গুলি করে হত্যা করে। একই মাসের ২১ তারিখে সরিফুল নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে হত্যা করে। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর দেবেশকে হত্যা করেঅ তার পাঁচ মাস পর পাংশার উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মেম্বার আক্কাছ আলীকে হত্যা করে। গত ১৭ মে মন্টু নামে এক ভ্যানচালককে হত্যা করে। ১০ জুন ২০১৫ প্রীতিশ নামে পাট্টা ইউনিয়নের এক মেম্বারকে হত্যা করে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে পাংশা থানায় গত বছরের ৩ এপ্রিল একটি বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়।
শুক্রবার ভোররাতের পুলিশের অভিযানে পাংশার চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতরা হলেনÑ এসআই হাফিজুর রহমান, এএসআই সরিফুল ইসলাম, এএসআই আহসান হাবীব ও কনস্টেবল আপন সরকার। তাদের পাংশা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মোয়াজ্জেম ফকির রাজবাড়ী জেলা পুলিশের একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার এই মৃত্যুতে এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যুর খবরে মিষ্টি বিতরণ করেছে পাংশা উপজেলার ব্যাবসায়ীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ