ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
আমি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত গ্রাম পাঙ্গাসী চাঁনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। চার ভাই-বোনের মধ্যে আমি সবার ছোট। ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া শেষ করে সরকারি চাকরি করবো। কিন্তু ২০০২ সালে এসএসসি পাস করার পর কোন এক কারণে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। ফলে আর লেখাপড়া শেষ করতে পারিনি। বর্তমানে আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেটির বয়স ৭ বছর আর মেয়েটির বয়স সবেমাত্র ৩ মাস। বাবা বেঁচে নেই। ঘরে আছেন আমার বৃদ্ধ মা। তাছাড়া আর না বললেই নয় আমি স্থানীয় হাট পাঙ্গাসী বাজারে ছোট একটি ব্যবসা শুরু করেছিলাম। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে আমি আমার ব্যবসায়ে সফলতা আনতে পারিনি। পারিনি আমার সংসারে অভাব-অনটন দূর করতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি একজন মা, আপনি একজন বোন, আপনি একজন সফল প্রধানমন্ত্রী। আমি আপনার কাছে কোন সাহায্যে চাই না। চাই শুধু একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা।
মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান,
সাং-গ্রাম পাঙ্গাসী চাঁনাড়া,
ডাকঘর-বোয়ালিয়ারচর,
উপজেলা-রায়গঞ্জ, জেলা-সিরাজগঞ্জ।
ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধির উপর অন্যায় আবদার কেন?
ব্যাধি নিরাময়ের প্রধান মাধ্যম হলো ওষুধ। তাই ওষুধকে জীবন রক্ষাকারী পণ্য বলা হয়ে থাকে। আর এই ওষুধকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কোম্পানীগুলোর স্থানীয় প্রতিনিধি রয়েছে। তাঁরা ওষুধ ও ওষুধের গুণগতমান সম্পর্কে ডাক্তারদের ধারণা দিয়ে থাকেন। এছাড়া ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ বিপণন করে থাকেন এই প্রতিনিধিগণ। কিন্তু এই প্রতিনিধিগণের সাথে ফার্মেসিম্যান ও ডাক্তারগণের অনেক অমানবিক আচরণ লক্ষ করা যায়। যেমন ভ্রমণের নামে অর্থ চাওয়া, ফ্যামিলির জন্য গিফট চাওয়া, মাঝে মাঝে অন্যায় আচরণ করা। এছাড়া সরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাওয়ার তো কোন শেষ নেই। ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিগণের সাথে এই অমানবিক আচরণ কখনই মেনে নেয়া যায় না। স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী এই প্রতিনিধিদের ঘাডের উপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায় আবদারগুলো বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের নজরে এনে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
মোঃ আজিনুর রহমান লিমন, গ্রাম- আছানধনী মিয়াপাড়া ডাক- চাপানীহাট, উপজেলা- ডিমলা,
জেলা- নীলফামারী।
শ্যামবাজারের উন্নয়ন চাই
রাজধানীর এক সময়ের নদী পথে আসা-যাওয়া ও নিত্যদিনের কাঁচাবাজারের মালামাল পুরনো ঢাকার শ্যামবাজার ছিল একমাত্র সম্বল। এর পাশেই লালকুঠি। পাকিস্তান আমলে বিয়েশাদী বা অনুষ্ঠানাদির জন্য লালকুঠী বা ফরাশগঞ্জ মইনউদ্দিন চৌধুরী মেমোরিয়াল হলই ছিল যথেষ্ট যা এখন একেবারে অবহেলিত। বুড়িগঙ্গা তীর ঘেঁষা এই শ্যামবাজার ও লালকুঠীর উন্নয়নের যথেষ্ট প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। পাইকারী কাঁচামাল ও বাজারসদাই করার জন্য এখনও শ্যামবাজারের খ্যাতি থাকলেও যানজটের কারণে মানুষ কারওয়ানবাজারকে বেছে দিয়েছে। শ্যামবাজার ও লালকুঠি এলাকার রাস্তা ভাল নয়। এ এলাকার উন্নয়নের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের অনেক অবহেলা ও উদাসীনতা রয়েছে। শ্যামবাজারের উপর ব্যাকল্যান্ডের মতো রাস্তাঘাট হলে পোস্তগোলা হতে মোহাম্মদপুর পর্যন্ত যাতায়াত করা খুবই সহজ হবে। আশাকরি, কর্তৃপক্ষ এ দিকে দৃষ্টি দেবে।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া
ঢাকা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন
আমার বাবা খুবই অসুস্থ এবং দরিদ্র ও ভদ্র একজন মানুষ। সংসার চালানো তার পক্ষে খুবই কষ্টকর। আমার একটি চাকরি বা কর্মসংস্থানে খুবই দরকার, যাতে পরিবারকে আমি সহায়তা করতে পারি। এমতাবস্থায় আমি আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
মোঃ মীর তাওহীদ
পিতা- মোঃ ছাইদুর রহমান,
গ্রাম- গোপালপুর, পোস্ট- সাংগড়,
জেলা- ঝালকাঠী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।