পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত যৌথ কূটনৈতিক সংলাপে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সাথে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বাংলাদেশীদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দফতর ব্রাসেলসে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কূটনৈতিক সংলাপে দুই পক্ষ এসব বিষয়ে আলোচনা ও একমত পোষণ করে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক নেতৃত্ব দেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে নেতৃত্ব দেন এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গানার উইগান্ড। বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ইইউ এক যৌথ বিবৃতি দেয়। তবে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্রাসেলসে দ্বিতীয় কূটনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে বাংলাদেশ ও ইইউ উভয় দিকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়াও ইইউ’র বৈশ্বিক কৌশল, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, এভরিথিং বাট আর্মস এবং অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি যেখানে ইইউ ও বাংলাদেশ সহযোগিতা করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়। এসব ইস্যুর মধ্যে আছে কানেকটিভিটি, অভিবাসন, শান্তি ও নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ এবং এজেন্ডা ২০৩০।
এতে উল্লেখ করা হয় যে, ইইউ এবং বাংলাদেশ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনিয়মিত অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য ও সচেতনতা বৃদ্ধির একটি কর্মশালা ঢাকায় অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হয়। এক্ষেত্রে, ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনিয়মিত অভিবাসীদের ইউরোপে থাকার অধিকার নেই সংক্রান্ত একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস (এসওপি)’ সই করার বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হয়।
ইইউ ও বাংলাদেশ ‘হরাইজন ২০২০’ সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়েও একমত হয়। এছাড়াও, নতুন নতুন ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়। এসব ক্ষেত্র হলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী খাত ও মহাকাশ খাত।
বিবৃতিতে বলা হয়, উভয়পক্ষ জনগণের পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে একমত পোষণ করে। আগামী বছর ঢাকায় পুনরায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। তখন এসব ক্ষেত্রে আবারো অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।