Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিউনিখের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

মিউনিখের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৩তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের জন্য তিনদিনের সরকারি সফরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ সম্মেলন শুরু হবে।সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (ইওয়াই ২৫৩) যোগে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন। জার্মানি যাবার পথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রীর আজ শুক্রবার সকালে জার্মানি পৌঁছার কথা রয়েছে।
মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সুশোভিত মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে বার্লিনের ম্যারিয়ট হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। জার্মানি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সেখানেই অবস্থান করবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে যোগ দেবেন। সেখানে আগত অতিথিদের সম্মানে মিউনিখের মেয়র আয়োজিত এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন এবং একইদিনে সম্মেলনের প্যানেল আলোচনায় জলবায়ু নিরাপত্তা এবং ‘গুড কপ ব্যাড কপস’ বিষয়ক পর্যালাচনা সভায়ও যোগ দেবেন। সেদিন সন্ধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
আবুধাবিতে ৬ ঘণ্টার যাত্রাবিরতিী শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্থানীয় সময় রাত ৮ টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। জানা গেছে, বর্তমান বিশ্বের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় ‘বেস্ট থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কনফারেন্স’ হিসেবে বিবেচিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ২০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ যোগ দেবেন। ১৯৬৩ সালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের যাত্রা শুরু হয়। পাঁচ দশক ধরে এই সম্মেলনে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও শৃংখলার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ন্যাটো, ইইউ, গ্রিনপিস, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্মেলনে যোগ দেবে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার প্রধান বিষয়গুলোর পাশাপাশি খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, উদ্বাস্তু এবং অভিবাসনের মতো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ