পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ শুল্ক সংক্রান্ত বাধা দূর করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্দো-বাংলা ট্রেড ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ শুল্ক সংক্রান্ত বাধার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাই ভোগান্তি দূর করতে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ সংক্রান্ত বাধা দূর করতে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে কালো দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন তোফায়েল আহমেদ।
হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক অন্যান্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। সামনের দিনগুলোতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ দিন দিন বাড়ছে। কয়েক বিলিয়ন ডলারেরর বিনিয়োগ এখন পাইপলাইনে আছে। আশা করছি এই বিনিয়োগ আরও বাড়বে।
এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ এখন রফতানিতে এগিয়ে চলেছে। প্রতিবছরই রফতানি বাড়ছে। ভারতে আমাদের প্রচুর পণ্য রফতানি হয়। বর্তমানে ভারতের বাজারে ৭০০ মিলিয়র ডলারের পণ্য রফতানি করা সম্ভব। তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার জন্য ‘ইন্দো-বাংলা ট্রেড ফেয়ার’ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করছি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ, সিয়েট একে খান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যতীব্রত ব্যানার্জি ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ) অভিজিৎ ব্যানার্জি।
নির্বাচন বানচাল করার ক্ষমতা বিএনপির নেই Ñতোফায়েল আহমেদ
নির্বাচন স্থগিত বা বানচাল করার ক্ষমতা বিএনপির নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ্যে ভারতের দ্য বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জীবন থেকে ২০১৪ সাল মুছে গেছে। দলটির যে কোনো নির্বাচন প্রতিরোধ বা স্থগিত করার ক্ষমতা নেই তা ওই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেই প্রমাণিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দলটি তাদের সে ভুল বুঝতে পেরেছে। তাইতো তারা অলরেডি আগামী নির্বাচনের জন্য মাঠে নেমে পড়েছে। তবে তারা যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল তাই তাদের কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে হচ্ছে। তারা প্রথমে প্রেসিডেন্টের কাছে সার্চ কমিটি গঠনের কথা বললো, পরে আবার সার্চ কমিটিকে অস্বীকার করলো। আসলে প্রেসিডেন্ট তাদের তালিকার সবাইকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিলেও তারা তার বিরোধিতা করতো।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ইদানীং খুব কথা বলছে। তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। সে সময়ে এই সরকার ‘সহায়ক সরকার’র ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে এই সরকার। রুটিন ওয়ার্ক পালন করবে। নির্বাচন পরিচালনার সব দায়িত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। সরকার কেবল তাদের সহায়তা করবে। এর ব্যতিক্রম হবে না। এখন মির্জা ফখরুলরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তারা নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না।
নির্বাচনের সময় সরকার কী হবে সেটি বিবেচনায় নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভারতে যখন নির্বাচন হয়, তখন তাদের প্রধানমন্ত্রীই ক্ষমতায় থাকেন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রধানের অধীনেই নির্বাচন হয়। তাহলে বাংলাদেশে কেন হবে না! বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা আছে। নিয়মানুযায়ী কারো দুর্নীতির অভিযোগে দু’বছর সাজা হলে সে পাঁচ বছর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু খালেদা জিয়ার সাজা হবে কি হবে না সেটি তো আমি বলতে পারবো না। এটি আদালতের বিষয়। তার সাজা হলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের বিষয়। তবে আমার বিশ্বাস আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।