Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওষুধ রফতানিতে গত বছর সাড়ে ৮শ’ কোটি আয়

| প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের আন্তরিকতা ও উদারনীতির ফলে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প অন্যতম শিল্প সেক্টরে পরিণত হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গত অর্থবছরে বিশ্বের ১২৩টি দেশে ওষুধ রফতানি করে ৮৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রফতানি হচ্ছে। ওষুধ রফতানির পরিমাণ ও দেশের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় চাহিদার শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগেরও বেশি ওষুধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় বলেও জানান তিনি।
মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকার ইতোমধ্যে নিরাপদ, মানসম্মত এবং ‘প্রপার পারফরমেন্স’র মেডিক্যাল ডিভাইস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি মেডিক্যাল ডিভাইস গাইডলাইন অনুমোদন করেছে। হার্টের রিং বা করোনারী স্টেন্ট একটি সংবেদনশীল মেডিক্যাল ডিভাইস। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদিত মেডিক্যাল ডিভাইস গাইডলাইন অনুযায়ী ইতোমধ্যে অনেক হার্টের রিং বা করোনারী স্টেন্টের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশনকৃত সকল হার্টের রিং বা করোনারী সেন্টের মূল্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কোন ব্যবসায়ী বা হাসপাতালের কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে হার্টের রিং বা করোনারী স্টেন্ট বিক্রির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু ৭১ বছর  
এম. আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে নারী-পুরুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৫-২০০৬ সালে গড় আয়ু যেখানে ৬৫ বছর ছিল বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭১ দশমিক ৮ বছর। এরমধ্যে মহিলাদের ৭৩ দশমিক ১ বছর এবং পুরুষের ৭০ দশমিক ৬ বছর। গড় আয়ু বৃদ্ধিতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্ব সংস্থা ইতোমধ্যেই পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে সনদ প্রদান করেছে। কুষ্ঠরোগ নির্মূল হয়েছে। নবজাতকের টিটেনাস বাংলাদেশে নেই। যক্ষা নিয়ন্ত্রণে রোগ শনাক্তকরণ ও ডটস পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান জোরদার এবং কার্যকর করা হয়েছে। সব সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ অন্যতম সমস্যা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ার স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রায় ১৩ হাজার ১৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়নখাতে ১৩ হাজার ১১৪ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়োজিত আছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে ৩০ প্রকারের ওষুধ এবং ২ প্রকারের পরিবার-পরিকল্পনা সামগ্রী বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ