পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720191463](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী মামলার আসামি ওয়াজ উদ্দিনের মৃত্যুর নয় মাস পরেও তাকে পলাতক দেখিয়ে মামলা চলার ঘটনায় পুলিশ বিভাগের গাফিলতির জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে ক্ষমার আবেদন করেন।
বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল শুনানির পর এসপিকে সতর্ক করে দিয়ে তার ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদেশে পুলিশের গাফিলতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারক বলেন, এখন ট্রাইব্যুনালের আদেশে গুরুত্ব দেয়া হয় না। নাক সিঁটকানো ভাব পুলিশ বিভাগের।
মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দেয়ার বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, সেখানে তার বদলে আইনজীবীর স্বাক্ষর থাকায় ওই ব্যাখ্যা গ্রহণ করেনি আদালত। আইজিপিকে দশ দিনের মধ্যে নিজের স্বাক্ষরে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অবহেলার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারের ব্যাখ্যায় বলা হয়, এ বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আর আইজিপির ব্যাখ্যায় গাফিলতির জন্য একজন পুলিশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও কী শাস্তি হয়েছে- তা উল্লেখ করা হয়নি।
পলাতক অবস্থায় মারা যাওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ মামলায় ময়মনসিংহের ওয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা চলার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। তা তদন্ত করতে সেদিনই প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষকে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
গত ১১ জানুয়ারি একটি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ‘মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের নজরে এলে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার বাসিন্দা ওয়াজ উদ্দিন ২০১৬ সালের ৭ মে মারা যান। তারপরও গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ওয়াজ উদ্দিন ও রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।