পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমানে বিরাজমান সব বিধি-বিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠনে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের এখন থেকেই কাজ শুরু করার নির্দেশও দেন তিনি। গতকাল (বুধবার) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের এমপি নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জনমানুষের ভোটাধিকার অধিকতর সুনিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই ‘ই-ভোটিং’-এর প্রবর্তন করার পরিকল্পনাও বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে বলে মত দেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন। সংবিধানের আলোকে প্রেসিডেন্ট যেমন উপযুক্ত বিবেচনা করেন, সেই প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সম্পন্ন করেন। মরহুম প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান সাংবিধানিক পদের অধিকারীদের সমন্বয়ে গঠিত সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনার নিয়োগ প্রথা চালু করেন। এবারও বাছাই কমিটির মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ তার নিজ প্রজ্ঞায়, স্বীয় বিবেচনায় ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করেছেন। প্রেসিডেন্টের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সুগভীর প্রজ্ঞা ও সুবিবেচনার প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
ইসি গঠনে আইন করার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে একটি উপযুক্ত আইন-প্রণয়ন করা হোক। সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে এখন থেকেই সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ নতুন ইসি (গতকাল) শপথ গ্রহণ করেছেন। তাদের সবাইকে আমি অভিনন্দন জানাই। পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনার হিসেবে একজন নারীকে নিয়োগ দেয়ায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।
অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস’র
স্থায়ী পর্যবেক্ষক হলো বাংলাদেশ
স্বতন্ত্র সদস্য মো. আব্দুল মতিনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সক্রিয় ক‚টনৈতিক উদ্যোগের ফলশ্রæতিতে এ বছরের শুরুতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম পুরনো বহুমুখী আঞ্চলিক সংস্থা ‘অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস’র (ওএএস) স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভ করেছে। ১৯৪৮ সালে গঠিত এই আঞ্চলিক সংস্থাটিতে উত্তর-দক্ষিণ-মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের মোট ৩৫টি দেশের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওএএস’র স্থায়ী পর্যবেক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ‘ওএএস’ যুক্ত দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অধিকতর সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতার দ্বার উন্মোচন করবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন বহুপাক্ষিক বিষয়সমূহ যেমনÑ গণতন্ত্র, সন্ত্রাস নির্মূল, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, টেকসহ উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশ আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের অনেক সদস্য রাষ্ট্রই এ সংস্থাটির সক্রিয় সদস্য এবং পর্যবেক্ষক হওয়ায় জাতিসংঘের প্লাটফর্মের বাইরে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ়করণের ক্ষেত্রে বিকল্প প্লাটফর্ম হিসেবে এই সংস্থাটিতে যোগদান ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবে। একইসঙ্গে স্থায়ী পর্যবেক্ষক হওয়ার কারণে বাংলাদেশ সংস্থাটির সব আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।