পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত চক্রের ২০১৪ ও ২০১৫ সালের হরতাল ও অবরোধের সময় তাদের আগুন সন্ত্রাস ও বোমা হামলার শিকার ৭ জনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এর মধ্যে হামলায় গুরুতর আহত ফেনীর এসএসসি পরীক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম অনিক ও শাহরিয়ার হৃদয় রয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনিকের মা আমেনা আকতার জেসমিন ও হৃদয়ের বাবা আবুল খায়েরের হাতে প্রত্যেককে ১০ লাখ করে টাকার চেক তুলে দেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
প্রেস সচিব বলেন, এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঢাকার তেজগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল কাদের মিয়া, গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও ঝিনাইদহের শৈলকুপার মো. লিটন মিয়া প্রত্যেককে ১০ লাখ করে টাকা এবং ঢাকার মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়ার সৈয়দ মো. আবদুল মতিন ও ঢাকার বংশালের মো. সেলিম হোসেন প্রত্যেককে ৫ লাখ করে টাকার চেক প্রদান করেন।
চেক প্রদানের সময় শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমা হামলায় আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন ও তাদের সান্ত¦না দেন। এসময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও হামলার শিকার ব্যক্তিরা আর্থিক সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনিক, হৃদয় ও আবদুল কাদের মিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়। অনিক ও হৃদয় দু’জনে ছিল ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। উভয়ে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয়।
তারা প্রাইভেট টিউটরের বাসা থেকে রিকশায় নিজ বাসায় ফিরছিলো। বোমা বিস্ফোরণে অনিকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ভয়ঙ্করভাবে পুড়ে যায়। তার দু’টি চোখই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অনিককে প্রথমে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে তার চোখের চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই পাঠানো হয়।
অপরদিকে ফেনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কাদের মিয়া ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি জেলা শহরে দুষ্কৃতকারীদের বোমা হামলায় গুরুতর আহত হন। সকাল ৯টা ৫মিনিটে পুলিশ কোয়ার্টারের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে দুষ্কৃতকারীরা তাকে বহনকারী মাইক্রোবাসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে দেয়। বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তার দায়িত্ব পালনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাওয়ার পথে ওই হামলা চালানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এবং এলজিআরডি সচিব আবদুল মালেক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।