পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ন্যায় বিচারের প্রতীক মাটি বা ধাতবের তৈরি মূর্তি হতে পারে না। কারণ, মূর্তির বাকশক্তি ও বোধশক্তি নেই। সৃষ্টিকর্তা ও তার নাজিলকৃত কুরআন হচ্ছে ন্যায় বিচারের প্রতীক। আল্লাহ ন্যায় বিচারের সব পদ্ধতি পবিত্র কুরআনে লিপিবদ্ধ করেছেন। আর আল্লাহর রাসূল (সা.) তা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করেছেন। এজন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ন্যায় বিচারকরূপে প্রতিষ্ঠিত। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবি থেমিসের মূর্তি স্থাপন করে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান জনগোষ্ঠীর ঈমানে চরমভাবে আঘাত হানা হয়েছে। মূর্তি নির্মাণ, সংরক্ষণ ও সম্মান করা হারাম। রাসূল (সা.) বলেছেন, আমি আবির্ভূত হয়েছি মূর্তি ও বাদ্যযন্ত্র ধ্বংসের জন্য। কাজেই সর্বোচ্চ বিচারালয়ে গ্রীক দেবির মূর্তি স্থাপনের ফলে দেশের বৃহত্তর ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। ফলে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবির মূর্তি অপসারণের দাবিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ-পূর্ব জমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জমায়েতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, ছাত্রনেতা জিএম রুহুল আমীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা শেখ নূরউন নাবী, প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন পরশ, মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, নকীভ বিন হুসাইন, আলহাজ্ব ফরিদ দেওয়ান, ছাত্রনেতা সাইফ মুহাম্মদ সালমান, কেএম শরীফুল ইসলাম, এহতেশামুল হক পাঠান প্রমুখ।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেখানে গ্রীক দেবির মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে এর পাশেই রয়েছে জাতীয় ঈদগাহ। এর পাশেই বসানো হয়েছে মূর্তি। সালাম ফিরালেই তা দেখা যায়। এটা মানা যায় না। জাতীয় ঈদগাহ’র পাশে মূর্তি স্থাপন করায় দেশব্যাপী মুসলিম জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। সর্বোচ্চ আদালতের অভিভাবক হিসেবে প্রধান বিচারপতি কিছুতেই এর দায় এড়াতে পারেন না। তারা বলেন, অনতিবিলম্বে মূর্তি অপসারণ না করলে দেশে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, সকাল ১১.৩০ মিনিটে একটি বিশাল মিছিল প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে পল্টন মোড় পৌঁছলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে দেয়। মিছিল ঠেকাতে পানিকামান, রায়ট কারসহ রণসজ্জিত ছিল পল্টন এলাকা। এসময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সেখান থেকে একটি ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান বিচারপতির বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন। সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ছাত্রনেতা জিএম রুহুল আমীন প্রমুখ। প্রধান বিচারপতির পক্ষে একান্ত সচিব আতিকুস সামাদ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।