পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সুমন কুমার কুন্ডু নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সাথে ভোক্তভ‚গী ওই নারীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
পিবিআই ঢাকা মেট্রো অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জানান, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে সুমন বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। ওই নারীর আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। গত বছর তার স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায়। সুমনের বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীও সাড়া দেয়। এরই মধ্যে গত মাসে ওই নারী গ্রাম থেকে বাড্ডায় তার ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে আসে। এ সময় সুমন টেলিফোনে ওই নারীর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে। সুমন হিন্দু এবং বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক হওয়ায় ওই নারী বিয়েতে অমত প্রকাশ করে। সুমন তাকে আশ্বাস দেয়, সপরিবারে সে ধর্মান্তরিত হয়ে ওইদিনই তারা বিয়ে করবে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি পান্থপথের হোটেল নিউ ক্যাপিট্যালের একটি কক্ষ তারা ভাড়া নেয়। এদিকে সুমনের ডাকে ওই নারী তার ১০ বছরের সন্তানসহ ভাইয়ের বাসা থেকে পালিয়ে সুমনের কাছে চলে আসে। এ ঘটনায় তার ভাই বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। হোটেলে কয়েকদিন অবস্থানের পর ওই নারী জানতে পারে, সুমন একজন প্রতারক। হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে জানতে পারে, সুমন তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন সময় নারীদের ওই হোটেলে নিয়ে আসে। প্রত্যেক নারীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে ওই নারী তার পরিবারকে খবর দেয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করে। ওই মামলায় মঙ্গলবার রাতে পিবিআই পান্থপথের ওই হোটেলের একটি কক্ষে অভিযান চালায়। সেখান থেকে সুমনকে গ্রেফতার ও নারীকে উদ্ধার করে।
পিবিআই জানতে পারে, গ্রেফতারকৃত সুমন কুন্ডু একজন প্রতারক ও ধর্ষণকারী। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে একাধিক মেয়েকে অর্থ ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে হোটেলে নিয়ে তাদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। প্রধানত বিবাহিত মেয়েরাই তার শিকারে পরিণত হয়। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে নারীদের ধর্ষণ করে ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে রাখে। পরে ভিকটিম বিয়ের কথা বললে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বলে। তার ফাঁদে পড়ে অনেক মেয়ের সংসার ভেঙে গেছে বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।