Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাপাইনবাবগঞ্জে স্বর্ণের গহনার জন্য হত্যা করা হয় মেঘলা ও মালিহাকে

আদালতে খুনীর জবানবন্দি

| প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল আত্মসাতের জন্যই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে দুই শিশু মেঘলা ও মালিহাকে। তাদের হত্যার কথা স্বীকার করে বুধবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত বাড়ির মালিক ইয়াসিন আলীর ছেলের বউ লাকি আক্তার। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত দুই শিশুর লাশ বুধবার দুপুরে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী ইয়াসিন আলীর বাড়ির একটি ঘর থেকে থেকে মেঘলা ও মালিহার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর দুদিন আগে থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। লাশ উদ্ধারের পর ওই বাড়ির মালিক ইয়াসিন আলী, তার স্ত্রী তানজিলা বেগম ও ছেলের বউ লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। রাতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে লাকি আক্তার ওই দুই শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করে। বুধবার সন্ধ্যায় প্রেস ব্রিফিং-এ চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, বিভিন্নজনের কাছ থেকে চড়া সুদে নেয়া লোনের টাকা পরিশোধের জন্য নিহত শিশু মেঘলার গলায় থাকা চেইন ও কানের দুল আত্মসাৎ করার চিন্তা করে লাকি আক্তার। রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাড়ির পাশে খেলতে থাকা মেঘলা ও মালিহাকে তার বাড়িতে ডেকে নেয় লাকি। এসময় মেঘলার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল এবং মালিহার কানে থাকা স্বর্ণের দুল খুলে স্থানীয় একটি স্বর্ণের দোকানে ২১ হাজার টাকায় সেগুলো বিক্রি করে লাকি আক্তার। একপর্যায়ে ওই দুই শিশুকে তার ঘরের বঙ্খাটের বক্সে ঢুকিয়ে রাখা হয়। সেখানে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় শিশু দুটি। লাশ দু’টিকে অন্যত্র সরাতে বস্তাবন্দি করা হলেও পুলিশ ও এলাকাবাসীর তৎপরতার কারণে তা করতে পারেনি লাকি আক্তার। পরে পুলিশের অভিযানে ওই স্বর্ণের দোকান থেকে লাকির বিক্রি করা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আরো জানান, এই হত্যাকাÐে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বুধবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে লাকি। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত লাকির শ্বশুর ইয়াসিন আলী, শাশুড়ি তানজিলা বেগম ও গীতা রানীর কোনো সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নামোশংকরবাটী ফতেপুর মহল্লার প্রবাসী মিলন রানার মেয়ে স্থানীয় ছোটমনি বিদ্যা নিকেতনের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন মেঘলা ও প্রতিবেশী আবদুল মালেকের মেয়ে একই স্কুলের নার্সারির ছাত্রী মেহজাবিন আক্তার মালিহা গত রোববার সকালে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দু’দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী ভ্যানচালক ইয়াসিন আলীর বাড়ি থেকে মেঘলা ও মালিহার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় এলাকাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ