পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ২৬ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে সাবেক এক মন্ত্রী ও সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ বেশ ক’জনকে সদস্য পদে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করীম, সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, আতাউর রহমান খান আংগুর। এছাড়াও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, বদিউজ্জামান খসরু ও একে আজাদ।
সোমবার আংশিক কমিটি ঘোষণার পর গতকাল মঙ্গলবার এই কমিটিরও অনুমোদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ কমিটির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নাম ঘোষণা করে প্রথমে আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। পরে এই কমিটির ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। এ কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য সহযোগী পদ পর্যায়ক্রমে বর্ধিত করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
না’গঞ্জ বিএনপির নতুন কমিটি ঘিরে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া
গুঞ্জন উঠেছিল নারায়ণগঞ্জ বিএনপি থেকে তৈমূর, গিয়াস ও কালামকে মাইনাস করে কমিটি ঘোষণা করা হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণে তাদের মাইনাস করা হবে বলে বলা হচ্ছিল।
এমন গুঞ্জনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল নারায়ণগঞ্জ তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। পরে কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে বলা হয়েছিল, মাইনাস নয়, সমন্বয় করেই কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে এরমধ্যে চমকের কথাও বলা হয়েছিল দলটির পক্ষ থেকে।
বলা হয়েছিল নবীন প্রবীণদের মিশ্রণেরই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হবে। যাতে করে দল সংগঠিত হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত মাইনাস ফর্মূলাতেই থাকল বিএনপি। কেবল ব্যতিক্রম হয়ে রইলো আবুল কালাম। চূড়ান্ত ভাবেই তৈমূর আলম খন্দকার ও গিয়াসউদ্দিনকে মাইনাস করে কমিটি ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
গত সোমবার বিকেল ৩টার দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কমিটি অনুমোদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকেলে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এর আগে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা পুনর্গঠন কর্মকান্ডের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ শাজাহান জেলা ও মহানগর কমিটির খসড়া নাম চূড়ান্ত করে দলীয় চেয়ারপারসনের কাছে পাঠান। সেই প্রক্রিয়ায় সোমবার এ কমিটি অনুমোদন করেন দলীয় মহাসচিব।
এদিকে কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি করায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃণমূলের মাঝে। অনেকেই বলছেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি অনেক আগেই কফিনে চলে গিয়েছিল। এবার সেই কফিনে শেষ পেরেক মেরে দেয়া হলো এই কমিটির মধ্য দিয়ে।
সূত্র বলছে, কাজী মনির জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়েও তেমন কোনো কর্মকাÐ সংঘটিত করতে পারেন নি। দলকে গোছাতে যা করার দরকার তা তিনি করেননি। বরং দলীয় কর্মসূচির অধিকাংশ সময় তিনি ছিলেন লাপাত্তা। এরমধ্যে হরতালের সময় তার ফ্যাক্টরিও খোলা রাখার অভিযোগ রয়েছে।
তবে, মহানগর কমিটিতে স্বাগত জানিয়েছে অনেকেই। অনেকেই বরছেন, মহানগর কমিটি নিয়ে কোনো রকম মতবিরোধ নেই। মহানগর কমিটি সুসংগঠিত হবে। কেনেনা, আবুল কালাম ও এটিএম কামাল দীর্ঘদিনের বিএনপির পরীক্ষিত নেতা। সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সবেমাত্র কমিটি হলো। আগে দেখি। পরে মন্তব্য করব।
অ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার নতুন দুই কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির দায়িত্বে ছিলাম। আমি এখন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। ভাইস চেয়াম্যান পদমর্যাদা আমার পদ। নেত্রী দলের মালিক। তিনি যাকে যেখানে ভালো মনে করেছেন সেখানেই রেখেছেন। জান্নাতুল ফেরদৌস গঠিত দুই কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। আশা করি উভয় কমিটির নেতারা দলকে সুসংগঠিত করতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।