Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তির জন্যই নূরুল হুদাকে নিয়োগ : জয়নুল আবদিন ফারুক

হুদা খাঁটি আওয়ামী লীগার

| প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে ‘দলীয় আনুগত্যের সাবেক আমলা’ আখ্যায়িত করে বিএনপির নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতেই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ মানববন্ধনের আয়োজন করে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, কেএম নূরুল হুদা একজন খাঁটি আওয়ামী লীগার। জনতার মঞ্চের খাঁটি লোক। তিনি বরিশাল ও ভোলার তখনকার নির্বাচন পরিচালনাকারীর অন্যতম সদস্য ছিলেন। আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেক নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্যেই নূরুল হুদাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সিইসি নূরুল হুদা একজন আওয়ামী নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, দুই বছর বাকি আছে আপনাদের (সরকার) ভাষায়। এই দুই বছরই আপনাকে (নূরুল হুদা) কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে, সরকার সে বিষয়ে ট্রেনিং দেয়া শুরু করবে। সে কারণেই প্রেসিডেন্ট বেছে বেছে আওয়ামী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ফারুক বলেন, দেশনেত্রী গতবছর দেশবাসীর কাছে জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সময়ে একটি সহায়ক সরকার প্রয়োজন। সেই সহায়ক সরকার যদি সঠিকভাবে আপনি মেনে নেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী আমি বিশ্বাস করব, আপনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোক, আপনি গণতন্ত্রের পক্ষের লোক। আপনার সকল কার্যক্রম আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে, তার অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না, হবেও না। তাই যে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব দেশনেত্রী করেছেন, সেই বিষয়ে আলোচনার দ্বার উন্মোচন করুন।
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের লিটন মাহমুদ, সাবেক ছাত্রনেতা সর্দার মো. নুরুজ্জামান, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
 




 

Show all comments
  • Md. Habib Hasan ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৩:১৩ এএম says : 0
    What you people it is not necessarily right,. You do not have the courage to face the election under new CEC. If it was Talukder , than , there were no problem!!!!! But we the people do not forgot the behavior of your Govt
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ