পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরনো ঢাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে যুবক নিহত
বগুড়া অফিস : সোমবার রাতে বগুড়ার কাহালু উপজেলায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে নব্য জেএমবির শীর্ষ কমান্ডার আবু মুছা। সে নব্য জেএমবির বগুড়া ,পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক এবং হলি অর্টিজান হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড রাজিব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। নব্য জেএমবির সদস্যদের কাছে সে আবুজার ওরফে আবু তালহা ওরফে রবিন ওরফে সামিউল (৩২) নামে পরিচিত ছিল। সে পাবনা সদর উপজেলার বাসিন্দা।
এ প্রসঙ্গে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, নিহত আবু মুছা গত ২০ মে ২০১৬ সালে কুষ্টিয়ার মজমপুর এলাকার হোমিও চিকিৎসক সানাউল্লাহ হত্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়াও ২০১৬ সালের ৫ জুনে নাটোরের বনগ্রাম বাজারে মুদি দোকানদার সুনীল গোমেজকে হত্যার সাথেও তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে ।
পুলিশের অন্য একটি সূত্র জানায় ,বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলায় জঙ্গি সংগ্রহ, আত্মাঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ, জেহাদি বই বিতরণ, চাঁদা সংগ্রহ এবং হিজরতের জন্য সঙ্গীদের প্রস্তুত করাসহ জঙ্গি তৎপরতায় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজে লিপ্ত কিছু জঙ্গি সদস্য গ্রেফতার হলে তারা আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছে তাতেই নিহত মুছার নাম উঠে এসেছে। এছাড়াও সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানায় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বরে আটক ৩ জঙ্গি আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছে তাতেও আবু মুছার নাম ছিল।
সর্বশেষ হলি অর্টিজান হামলার ঘটনার মাস্টার মাইন্ড ও প্রধান হোতা রাজিব গান্ধী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বগুড়ায় রিমান্ডে থাকা কালে তার কাছ থেকেও আবু মুছা সম্পর্কে জানা যায় যে সে নব্য জেএমবির বগুড়া ,পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এই অঞ্চলে সে নব্য জেএমবির এহসার সদস্যদের ভয়ঙ্কর হামলার জন্য তৈরি করছিল বলে পুলিশ সূত্র জানায় ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।