পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো: মাসুদুর রহমান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মো: মাসুদুর রহমান জানান, সোমবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজু আহমেদ, ফয়সালুর রহমান আকাশ, মোহাম্মদ জোহায়ের আয়াজ, মহিউদ্দিন ইমন, স্বাধীন আল মাহমুদ ও
কাজী রাশেদুল ইসলাম রনি। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, সিপিইউ এবং মোবাইল সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে বলে গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল বাতেন জানান।
রোববার অনুষ্ঠিত এসএসসির গণিত পরীক্ষার আগেই হোয়াটস অ্যাপে পাওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রমাণিত হলে গণিত পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে ভেবে দেখা হবে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
গ্রেফতারকৃতদের প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রটি ফেসবুক পেইজ খুলে একটা ক্লায়েন্ট গ্রæপ তৈরি করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন পরীক্ষার আগের দিন তারা বিভিন্ন অংকের টাকার বিনিময়ে ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে প্রশ্ন ছড়াত।
প্রশ্ন চেয়ে যোগাযোগের পর সাড়া মেলে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, বোর্ডের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এ বছর অংক পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে অনেক লেখালেখি ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সুতরাং তদন্তে বেরিয়ে আসবে যে কারা এটার জন্য দায়ী। নরমালি আমাদের যে সিস্টেম রয়েছে, তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা বাতেন বলেন, তদন্তে আমরা ছয়টি ধাপ অতিক্রম করেছি। আর দু’টি ধাপ বাকি রয়েছে। এ দু’টি অতিক্রম করলে প্রশ্ন ফাঁসের অন্তরালে কারা তা নিশ্চত হওয়া যাবে। গ্রেফতারকৃতরা আগে কখনো এসব কাজে জড়িত ছিল না, তারা নতুন করে যুক্ত হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পরীক্ষার্থী সেজে যোগাযোগ করে মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গণিত পরীক্ষার আগের রাতেই প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন একজন সাংবাদিক। রাতে পাওয়া সৃজনশীল প্রশ্নপত্র এবং সকালে পাওয়া এমসিকিউ প্রশ্ন মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির আহŸায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ট্রেজারি থেকে তা ফাঁস হয় বলে সন্দেহের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
আর শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ পরীক্ষার আগের রাতে ফাঁস হওয়া গণিতের প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্ন মেলেনি বলে দাবি করলেও পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিট আগে প্রশ্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে চলে আসে বলে স্বীকার করেন। আর এ জন্য তিনি দায়ী করেন শিক্ষকদের। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হলে গণিত পরীক্ষা পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, চলতি ফেব্রæয়ারি মাসের ২ তারিখ থেকে সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এ পরীক্ষার কয়েকটি প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে গণিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।