পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পল্টনে গোলাম দস্তগীর গাজী এমপির কার্যালয় ও আশপাশ থেকে গ্রেফতার ৮
স্টাফ রিপোর্টার : অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল, প্রভাব বিস্তার ও চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরেই রাজধানীর পুরানা পল্টনে এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর অফিসে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়া। গুলির ঘটনায় ভ‚ক্তভোগী মোশাররফের ভগ্নিপতি রুহুল আমিন বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেছেন। এতে হামলাকারী মাসুদ রানা আশিককে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরপরই আটজনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসেন হীরাকে সন্দেহজনক আসামি করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ কালভার্ট রোডে মোশাররফ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হন। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতীক) ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে কালভার্ট রোডের ৩৭/২ হোল্ডিংস্থ ১৯ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায়। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় সংসদ সদস্য সেখানে ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে তার নির্বাচনী এলাকায় নিজেদের আভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে ১০-১২ জনের একটি মিটিং চলছিল। এ সময় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মাসুদ রানা আশিক গুলি ছুঁড়ে। গুলি মোশাররফ হোসেনের পেটে বিদ্ধ হয়। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার রাতেই তার অপারেশন হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মোশারফ বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। সে রূপগঞ্জ থানাধীন গাউছিয়া উপজেলার বাসিন্দা এবং উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় মোশাররফের ভগ্নিপতি রুহুল আমিন বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন। এতে মাসুদ রানা আশিককে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই সৌমেন বড়–য়া গত রাতে ইনকিলাবকে জানান, নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল, প্রভাব বিস্তার ও চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্ব›েদ্বর জের ধরেই মোশাররফ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই প্রমাণ মিলেছে। সোমবার রাতে ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল ও এর আশপাশে অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে মোজাম্মেল হীরা হত্যা প্রচেষ্টার সাথে জড়িত সন্দেহ করায় তাকে গ্রেফতার দেখানে হয়েছে। বাকিদের নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাদেরকে মামলার সাক্ষী করা হয়েছে। হীরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে। সৌমেন বড়–য়া আরো জানান, মামলার প্রধান আসামি আশিককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।