Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নরসিংদীতে শিশু আবীরকে ঘাড় মটকে হত্যা

| প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : এবার গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে আবীর নামে ৭ বছরের এক স্কুল পড়–য়া ছাত্র। গুপ্ত ঘাতকরা তাকে অপহরণ করে নির্মমভাবে ঘাড় মটকে হত্যা করেছে। গত সোমবার রাতে নরসিংদী জেলা শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়া মহল্লায় এই শিশু হত্যাকান্ডের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। এই হত্যাকাÐের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সারা শহরে পিতামাতা ও অভিভাবকের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। শত শত নারী পুরুষ ও শিশু এই ঘটনা জানার জন্য পশ্চিম কান্দাপাড়া মহল্লায় আবীরদের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে।
জানা গেছে, খুলনা বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার শহীদ মিয়া, তার স্ত্রী আসমা বেগম ও পুত্র আবীরকে নরসিংদী শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়া মহল্লার একটি বাড়িতে ভাড়ায় রেখে সে প্রবাসী জীবনযাপন করে। আবীর রাঙ্গামাটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তার রোল নং-৫। সোমবার বিকেলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতে যায়। এরপর সে সন্ধ্যা নাগাদ বাসায় না ফেরায় তার মা আসমা বেগম ও আত্মীয়-স্বজনরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে তারা মাইক দিয়ে সারা শহরে আবীরের নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করে। রাত আনুমানিক সোয়া ১০ টার দিকে গুপ্তঘাতকরা আবীরদের বাড়ির সীমানার দক্ষিণ পাশে রহমান সরকারের বাড়ির পেছনের দেয়াল টপকিয়ে আবীরের লাশ একটি দালান ঘর ও দেয়ালের মাঝের সংকীর্ণ স্থানে ফেলে দ্রæত পালিয়ে যায়। এসময় দালানের জানালার অপর পাশে রুমের ভেতর ভাত খেতে বসা আরেক ভাড়াটিয়া মহিলা লাশ পতনের আওয়াজ শুনতে পেয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মহিলা বাড়ির মালিকের স্ত্রীকে ঢেকে আনেন। বাড়ির মালিকের স্ত্রী ভাড়াটিয়ার কক্ষে গেলে জানালা খুলে বাইরে তাকাতেই দেখা যায়, একটি শিশুর লাশ পড়ে রয়েছে। এতে ভাড়াটিয়া মহিলা চিৎকার করে উঠলে আশে পাশের লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে দালানের চিপায় আবীরের লাশ পড়ে রয়েছে। এসময় তার পড়নে একটি লাল গেঞ্জি ও একটি সাদাটে প্যান্ট ছিল। খবর পেয়ে আবীরের মা ও আত্মীয় স্বজনরা দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আবীরের লাশ শনাক্ত করে। থানা পুলিশ এখবর জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আবীরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদীর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। গুপ্তহত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আবীরের বাবা মহিদ আবীরের মাকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে আবীরকে সেখানে নিয়ে যায়। পরে আবীরের মা আসমা মামলা ও দেনদরবার করে তাকে নিজের কাছে নিয়ে আসে। এবং রাঙ্গামাটি কিন্ডারগার্টেণ স্কুলের ১ম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন। এবছর আবীর প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। এব্যাপারে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনও কোনো গুপ্তঘাতককে চিহ্নিত করতে পারেনি। তবে ঘটনা ও ঘটনার আলামত লক্ষ্য করে, এলাকার সচেতন লোকজন ও পুলিশের ধারণা আবীরদের বাড়ির আশেপাশেই গুপ্তঘাতক লুকিয়ে থাকতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ