পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটী ফতেপুর মহল্লা থেকে ২ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশু সুমাইয়া খাতুন মেঘলা (৭) ও মেহজাবিন আক্তার মালিহার (৬) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশী ইয়াসিন আলীর বাড়ির একটি ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক ইয়াসিন আলীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, নামোশংকরবাটী ভবানীপুর মহল্লার প্রবাসী মিলন রানার মেয়ে স্থানীয় ছোটমণি বিদ্যা নিকেতনের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন মেঘলা ও প্রতিবেশী আব্দুল মালেকের মেয়ে একই স্কুলের নার্সারীর ছাত্রী মেহজাবিন আক্তার মালিহা রোববার সকাল ১০টার পর বাড়ির বাইরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তাদের কোনো সন্ধান মিলছিল না। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর রোববার বিকেলে দুই শিশুর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। তখন থেকেই নিখোঁজ ওই দুই শিশুকে উদ্ধারে মাঠে কাজ করছিল পুলিশের একাধিক টিম। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তেলীপাড়া মহল্লার শম্ভুর মেয়ে গীতা রানী (১৮) নামের এক তরুণীকে আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও তাদের সন্ধান মিলছিল না।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী ওই এলাকার সন্দেহভাজন প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় একই গ্রামের ভ্যানচালক ইয়াসিন আলীর বাড়ি থেকে মেঘলা ও মালিহার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় এলাকাবাসী। এ সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকার সাধারণ মানুষ। ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। পরে সদর থানা পুলিশ রাত ৭টার দিকে নিহত দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় বাড়ির মালিক ইয়াসিন আলী, তার স্ত্রী তানজিলা বেগম ও ছেলের বউ লাকি খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে হত্যার মোটিভ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কি কারণে ও কিভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দ্রæত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে। এছাড়া লোমহর্ষক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রæত বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।