পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এহসান আব্দুল্লাহ : ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত’ কবির এ কথা প্রমাণ করে বাঙালির বসন্তের প্রতি নিবিড় আবেগ আর ভালোবাসার কথা। ষড়ঋতুর এ দেশে সব রঙ আর উচ্ছ¡াস নিয়ে বসন্ত আসে সকলের প্রাণে। বসন্তের এ ছোয়া থেকে বাদ যায়নি বইমেলাও। কাল বইমেলা সেজেছে বসন্তের রঙে। চারদিকে আনন্দ উচ্ছ¡াস আর ফুলের ঘ্রাণে ভেসে উঠেছিল বাংলা একাডেমি ও সোহরোওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গন। দর্শকদের সারিবদ্ধ প্রবেশে প্রাণ পায় মেলা প্রাঙ্গন। শুধু মেলায় আগত দর্শনার্থীরা নয়, বসন্তের এ ছোঁয়া লেগেছিল স্টলগুলোতেও। বিক্রয়কর্মীরাও সেজে এসেছিলেন বসন্তের রঙের সঙ্গে তাল মিলিয়ে।
স্বপরিবারে, বন্ধুদের সাথে অথবা কেউ ভালোবাসার মানুষটির হাত ধরে আজ এসেছেন বইমেলায়। যুগলরা হাতে হাত রেখে একসাথে ঘুরে দেখছেন পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। স্টলের বিক্রয়কর্মীদের মাঝেও বিরাজ করছে উচ্ছ¡াস। বসন্তকে উপলক্ষ্য করে অনেকেই প্রিয়জনকে উপহার দিচ্ছেন নানা ধরনের বই। কেউ পছন্দ করতে না পারলে সে ক্ষেত্রে নিচ্ছেন বিক্রয়কর্মীদের সাহায্য। এভাবেই কোলাহল মুখর হয়ে উঠেছে পুরো বইমেলা।
মেলায় আসা তরুণ-তরুণীদের হাতে, খোপা ছিল হলুদ রঙের ফুল দিয়ে মোড়ানো। মাথায় ছিল হরেকরকম ফুলে দিয়ে সাজানো টায়রা। হলুদ, সবুজ বা লাল শাড়িতে সেজেছেন বাসন্তী সাজ। তরুণরা সাদা পাজামার সাথে হলুদ পাঞ্জাবি বা ফতুয়া অথবা সাদা পাঞ্জাবি মিলিয়ে নিয়েছেন বসন্তের সাজ। বসন্তের সাজ থেকে বাদ পড়েনি মধ্যবয়ষ্ক রমণীরাও। তারাও এসেছেন খোপায় ফুল বেধে বাসন্তি শাড়ী পড়ে। স্বামী-সন্তানসহ অন্যদের মতোই উপভোগ করেছেন কালকের দিনটি। বইমেলার প্রতিটি কেণে তারা খুজেছেন পছন্দের বই। তাদের অধিকাংশেরই পছন্দ ছিল রান্না ও গৃহসজ্জা বিষয়ক বিভিন্ন বই, সন্তানদের জন্য কিনেছেন শিশু চত্বর থেকে বিভিন্ন কমিক্স আর গল্পের বই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিমা মৌলি এসেছেন তারই বিভাগের বন্ধু মুনির হোসাইনের সাথে। তিনি এবারের মেলায় কালই প্রথম এলেন। জানালেন বসন্তের বইমেলাটা দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই ব্যস্ততা সত্তে¡ও আজ এসেই পড়লাম।
আগামী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মিতিয়া উসমান বলেন, আজ অন্যরকম লাগছে। প্রতিদিনের চেয়ে আলাদা। আর বেচাকেনা ও আজ ভালোই হচ্ছে। অনেকই উপহার দেয়ার জন্য বই কিনছেন আজ।
কাল বইমেলায় মোড়ক উন্মোচন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন সেজানের প্রথম উপন্যাস ‘গোধূলির গল্প’ বইয়ের। শেষ বিকেলের একটি ছেলেকে নিয়ে গল্পটা। কৈশোর থেকে তারুণ্যে পদার্পণ, গ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশের সংস্পর্শে আবেগ-অনুভ‚তি, ভালো লাগা, ভালোবাসা, আনন্দ-বেদনার যে একটি পরিবর্তনের ধারা, সেটি ফুটে উঠে এ উপন্যাসে। উপন্যাসটিকে শৈশব, তারুণ্য, সমাজ, ছাত্ররাজনীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা চিত্রায়ন বলা যেতে পারে। বইটি পাওয়া যাবে অঙ্কুর প্রকাশনীতে। এ ছাড়া মো. সাদেকুর রহমানের কবিতার বই ‘জীবন কাব্য’ সাউন্ড বাংলা থেকে প্রদর্শিত হয়েছে।
কাল মেলায় নতুন বই এসেছে ৭১টি এবং ১৪টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।