পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : মুন্সীগঞ্জে ২২ মামলার তালিকাভুক্ত পালাতক আসামি শাহজালাল মিজি (৩৩) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদরের বৈখর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ৩ জন পুলিশ সদস্য এসআই মো. হেমায়েত মোল্লা (৩৭), পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ সোহেব মিয়া (২৫) ও গুলিবিদ্ধ পুলিশ কনস্টেবল সোহরাব হোসেন (২৮) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহত শাহজালাল জেলা শহরের দক্ষিণ কোটগাও-এর ঝিন্টু মিঝির পুত্র। এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম গতকাল এক প্রেস নোটে সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসী শাহজালাল মিজির বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদক, ডাকাতি, অপহরণ, সরকারি কাজে বাধা, মারামারিসহ নানা অপরাধে ২২টি মামলা রয়েছে এর মধ্যে সে ৭ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তাকে খুঁজছিল।
তিনি আরো জানান, রোববার বিকেলে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে কুখ্যাত তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহজালাল মিজিকে শহরের কোটগাঁওস্থ লিচুতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যলয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে অবৈধ অস্ত্রের রাখার ব্যাপারে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বৈখর এলাকার জনৈক ময়না মোল্লার কাঠ বাগানে পৌঁছা মাত্র সেখানে পূর্ব হতে ওৎপেতে থাকা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আসামি (শাহজালাল)কে ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশে পুলিশের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। তখন পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে এসময় সন্ত্রাসী শাহজালাল মিজি সুযোগ বুঝে পুলিশের গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসী ও পুলিশের মাঝে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয় পরে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। গোলাগুলির ঘটনা শেষে শহরের বৈখর এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহ জালাল মিজিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। গোলাগুলির সময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি বিদেশী পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন, ৫টি পিস্তলের গুলির খোসা, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি রামদা, ১টি চাপাতি ও ২টি ছোরা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
নিহত শাহাজালাল মিজির লাশ ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে সকালে এখবর মুন্সীগঞ্জে ছড়িয়ে পড়লে হাসপতালে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।