পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত মূর্তিকে যতই তথাকথিত ভাস্কর্য বলে ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা করা হউক না কেন ইসলামে কোন মূর্র্তি বা মূর্তির ভাস্কর্য সম্পূর্ণ হারাম। গতকাল এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগসহ বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে তারা গত রোববার দৈনিক কালের কণ্ঠের ১ম পাতায় প্রকাশিত সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত মূর্তি ‘গ্রিক দেবী’র নয় বলে দলিলবিহীন মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত মূর্তি গ্রিক দেবী “থেমিস” অথবা “জাস্টিসিয়া” যাই হোক না কেন “থেমিস” এবং “জাস্টিসিয়া” দুটোই গ্রিকদের ন্যায় বিচারের দেবী। অথচ প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, “জাস্টিসিয়া” রোমান শব্দ থেকেই উদ্ভুত একটি শব্দ যা গ্রিক দেবী নয়। এ সংবাদ পরিবেশন করে কালের কণ্ঠ জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। কারণ, থেমিস সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে, গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী “থেমিস” হলো ১২জন টাইটান দৈত্যের একজন। যে, স্বর্গীয় আইন-কানুন ও আদেশের টাইটান দেবী। থেমিস মানেই হচ্ছে, লেডি অব জাস্টিস। তাছাড়া দ্য এডিটরস’র অব এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় বলা আছে, থেমিস হলো, গ্রিক ধর্মে ন্যায় বিচার, প্রজ্ঞা ও সৎ উপদেশ এবং দেবতাদের ইচ্ছার দেবী।” তাকেই আবার রোমান পুরাণে জাস্টিসিয়াও বলা হয়েছে। যদিও এ দেবীর বাক বা বোধ শক্তি কিছুই নেই।
আবার জাস্টিসিয়া সম্পর্কে উইকিপিয়ায় বলা হয়েছে, “জাস্টিসিয়া হলো লেডি বিচারপতি। ন্যায়বিচারের রোমান দেবী। যে, গ্রিক দেবী থেমিস সমতূল্য। বিচার ব্যবস্থার মধ্যে নৈতিক শক্তির একটি রূপক মূর্ত প্রতীক।” অথচ ন্যায় বিচার কোন রূপক বিষয় নয় তাই কালের কণ্ঠে জাস্টিসিয়াকে গ্রিক মুর্তি নয় বলে জনগণকে ধোকা দেয়া হয়েছে এবং ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “জাস্টিসিয়া” হোক অথবা “ থেমিস” হোক দুটিই গ্রিক দেবী। যা গ্রিকদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ন্যায় বিচারের প্রতীক। অথচ মুসলমানের ন্যায় বিচারের উৎস হচ্ছে, কুরআন শরীফ। গ্রিকদের কল্পিত মূর্তিকে এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার একটি চক্রান্ত। ১৯৪৮ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক মূর্তি না থাকলেও মূর্তি বসানোর পূর্ব পর্যন্ত আদালতে ন্যায় বিচার বন্ধ ছিলনা। তা হলে কেন প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রিক মূর্তি স্থাপন করে বা কাদের স্বার্থে। এটা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুযোগ করে দিতেই এ ষড়যন্ত্র। অবিলম্বে এটা অপসারণ করতে হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, মাওলানা, মুফতি আব্দুর রহিম (পীর সাহেব) শেরপুর, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, সাধারণ সম্পাদক- আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মিরপুর নূর-এ মদীনা চিশতীয়া দরবারের পীর সাহেব মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি, আজিমপুর ছোট দায়রা শরীফ শাহী মসজিদের খতীব আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশনের সভাপতি লায়ন মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক, পীরজাদা মাওলানা সিরাজুল ইসলাম (হবিগঞ্জ), মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী টাঙ্গাইল, মাওলানা তাজুল ইসলাম (বড়নগরী) ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সাপ্তাহিক ওলামা কণ্ঠের সম্পাদক আখতার হুসাইন বিন ফারুকী, বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি হুজুর, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল নারায়ণগঞ্জি, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল কাদের শরীয়তপুরী, আলহাজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান রংপুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।