Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধই থাকছে ৩৪ ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন

| প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ৩৪টি কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ চ‚ড়ান্তভাবে বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে জারি করা রুল এবসলিউট (যথাযথ ঘোষণা) করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ এই রায় দেন। ফলে ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে ২০টি কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন সম্পূর্ণরুপে এবং বাকি ১৪টি কোম্পানির এন্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের আদেশ বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান বন্ধ ঘোষণা করা কোম্পানির আইনজীবীরা।
২০টি কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন বন্ধ থাকবে সেগুলো হলোÑ এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যাল, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যাল, ড্রাগল্যান্ড, গেøাব ল্যাবরেটরিজ, জলপা ল্যাবরেটরিজ, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যাল, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল ড্রাগ, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল, রেমো কেমিক্যাল, রিড ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল,স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টার ফার্মাসিউটিক্যাল, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যাল, টুডে ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
অন্য ১৪ কোম্পানির হলোÑ আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যাল, এলকাড ল্যাবরেটরিজ, বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যাল, বেঙ্গল ড্রাগস, ব্রিস্টল ফার্মা, ক্রিস্ট্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যাল, এমএসটি ফার্মা, অরবিট ফার্মাসিউটিক্যাল, ফরমিক ল্যাবরেটরিজ, ফোনিক্স কেমিক্যাল, রাসা ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেভ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। অপর দিকে, বন্ধ কোম্পানিগুলোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহেল বাকী।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, এই রায়ের ফলে ২০টি কোম্পানি সম্পূর্ণরুæপে ও ১৪টি কোম্পানির এন্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ বহাল থাকল। তিনি আরো বলেন, কোম্পানি ইচ্ছা করলে কমিটির কাছে তাদের জিএমপি মান পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবে। এই কমিটি জিএমপি নীতিমালা অনুসরণ সম্পর্কিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন তাদের লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারবে।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় জারি করা রুলের উপর আট কার্যদিবস শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৯ ফেব্রæয়ারি দিন নির্ধারণ করেন। পরে তা পিছিয়ে ১৩ ফেব্রæয়ারি রায়ের নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়। ২০১৬ সালে ২০টি কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অপর ১৪টি প্রতিষ্ঠানের এন্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদনও বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। ওইদিনই মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ২০টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল ও ১৪টি কোম্পানির এন্টিবায়োটিক লাইসেন্স বাতিলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফরের পক্ষে ২০১৬ সালের ৫ জুন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ