পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ সংবাদদাতা : আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম জাতীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারো কাছে মাথা নিচু করে চলব না, মাথা উঁচু করে চলব। তাই আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। পর মুখাপেক্ষী হয়ে নয়।
এই বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের প্রশিক্ষণ শুধু নিজেদের না, গ্রামের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকেও আপনারা আত্মমর্যাদাশীল হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস কেবল বাংলাদেশেই নয়; সমগ্র বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আনসার- ভিডিপির সদস্যরা যারা গ্রামে-গঞ্জে বসবাস করেন তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মতো অপকর্মের সাথে যারা জড়িত অথবা মাদকাশক্তি, মাদকপাচারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারেন। ছেলে-মেয়েরা মাদকাশক্তি এবং জঙ্গিবাদে যেন না জড়ায় এ ব্যাপারে আপনাদের একটা ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে আনসার-ভিডিপিকে সম্পৃক্ত করতে ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ‘আপনাদের যে ট্রেনিং আছে, এই ট্রেনিং কাজে লাগিয়ে এই সমিতিগুলোর সাথে আপনারা যদি সদস্যভুক্ত হন; তাহলে আমি মনে করি, বাংলাদেশকে আমরা অতি দ্রুত দারিদ্র্যমুক্ত করতে সক্ষম হব’ বলেন সরকারপ্রধান। কর্মমুখী ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবসম্পদকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলাকে এই বাহিনীর একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ হিসাবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সফিপুর আনসার একাডেমির ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম জাতীয় সমাবেশের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্যারেড কমান্ডান্ট আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এ সময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং আনরার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান আনসার একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের জন্য আনসার সদস্যদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ এবং উচ্চপর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতির ক্রান্তিকালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের বলিষ্ঠ ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, আমাদের দেশে যখন কোনো সমস্যা দেখা দেয়, আনসার বাহিনীর সদস্যরা তখনই সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে, বিশেষ করে ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছিল। তারা রেল লাইনে আগুন দেয়, রেললাইন উপড়ে ফেলে, রেলের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলে দেয়, বাসে, ট্রাকে আগুন দেয়, গাছ কেটে ফেলে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। এসব কর্মকা-কে প্রতিহত করা এবং জনগণের জান-মাল রক্ষায় আমাদের আনসার ভিডিপি বিরাট দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে অপারেশন রেলরক্ষা, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেইসাথে মহাসড়কের নাশকতারোধ থেকে শুরু করে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমনে আপনারা মহান ভূমিকা রেখেছেন, জাতিকে রক্ষা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্যদিয়ে আমরা টানা দ্বিতীয়বারের মত সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। সেজন্য আমি আপনাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি নির্বাচনেই আপনারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন এবং আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় আপনাদের ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষ করে শিল্প কল-কারখানা, সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অর্ধ লক্ষাধিক আনসার সদস্য সর্বদা উপস্থিত থেকে দেশের অর্থনীতির চাকাকে নিরাপদ ও গতিশীল রেখেছেন। বিমানবন্দর নিরাপত্তায় গঠিত ‘অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি’তে এই আনসার বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, এ বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানসম্মত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের বেকার সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা বর্তমানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসহ দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া আয় বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জনের ক্ষেত্রে এ বাহিনী সারাদেশে ‘এক বিশাল পরিবর্তন’ সূচনা করেছে। আনসার ও ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন ও ঋণ গ্রহণের সম্মিলনের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে এ ব্যাংক কাজ করছে।
ব্যাটালিয়ন আনসারদের চাকরি ৯ থেকে ৬ বছরের পূর্ণতা সাপেক্ষে স্থায়ী করার খসড়া আইনটি অনুমোদন দেয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে আইনটা হয়ে যাবে। আপনারা ছয় বছরে স্থায়ীত্ব পাবেন। কেবিনেটে অনুমোদন হয়ে গেছে। ইনশা আল্লাহ আমরা পাস করে দেব।
আনসার-ভিডিপিকে ‘মাটি ও মানুষের বাহিনী’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরুরি প্রয়োজনে সরকারের বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে এ বাহিনী বার বার উৎকৃষ্ট প্রমাণ রেখেছে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে ১২ জন আনসার সদস্যের গার্ড অফ অনার দেয়ার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্ববৃহৎ ও সুশৃঙ্খল এ বাহিনী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের প্রয়োজনে সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর ৬৭০ জন শহীদকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এ বাহিনীর স্বতঃস্ফূর্ত ও ব্যাপক অংশগ্রহণ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। তাদের কাছে রক্ষিত ৪০ হাজার থ্রি নট থ্রি রাইফেলই ছিল, সে রাইফেলই মুক্তিযুদ্ধে মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সাথে সাথে এই বাহিনী বিভিন্ন নিরাপত্তায় বিশেষ করে আমাদের কূটনৈতিক পাড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজকাল সকলেই আনসার বাহিনীকে নিচ্ছে নিরাপত্তার জন্য।
তিনি বলেন, সারাদেশে ২৪টি ব্যাটালিয়নের মোতায়েনকৃত সদস্য পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং ডিজিএফআইর সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবন, নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে আনসার বাহিনী। এছাড়া এসব ব্যাটালিয়ন বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায়ও সহযোগিতা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মাটি ও মানুষের বাহিনী। জরুরি প্রয়োজনে সরকারের বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে এ বাহিনী বার বার রেখেছে তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। সর্ববৃহৎ ও সুশৃঙ্খল এ বাহিনী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের প্রয়োজনে সর্বদা রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
আনসার ও ভিডিপির উন্নয়নে তার সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- ১৯৯৮ সালে আমাদের সরকারই আপনাদের সর্বোচ্চ সম্মান জাতীয় পতাকা প্রদান করে। আপনাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার ধারাবাহিকতায় ব্যাটালিয়ন আনসারদের চাকরি ৯ থেকে ৬ বছরের পূর্ণতা সাপেক্ষে স্থায়ীকরণের বিষয়টি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া আপনাদের সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ প্রতিবছরই বিভিন্নভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গত বছর ১৫টি মডেল আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দফতর নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে ৫টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি বছর আপনাদের দৃষ্টান্তমূলক কর্তব্যপরায়ণতা ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ যে পদক প্রদান করা হচ্ছে তা আমাদের সরকারই প্রবর্তন করেছে।
আনসার ও ভিডিপি বাহিনীর সম্প্রসারণে সরকারের উদ্যোগের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন- সম্প্রতি অস্থায়ী ব্যাটালিয়ন আনসার, অঙ্গীভূত আনসার, হিল আনসার এবং ভিডিপি দলনেতা-দলনেত্রীদের ভাতাদি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে ভিডিপি দলনেতা-দলনেত্রীদের পদসংখ্যা ৮ হাজার ৫শ’ জন থেকে ১৫ হাজার ২শ’ ৪৮ জনে উন্নীত করা হয়েছে। শহর এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ওয়ার্ড দলনেতা ও দলনেত্রীর পদ বাড়ানো হয়েছে। পার্বত্য এলাকায় এ বাহিনীর ১৫টি ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অপারেশনাল ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। বিশেষ করে উপমহাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ দু’টি মহিলা ব্যাটালিয়নের সদস্যগণ দেশের সীমান্তে নাশকতা রোধ এবং অবৈধ চোরাচালান দমনে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাবে দায়িত্ব পালন করছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে রয়েছে এ বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা।
কর্মমুখী ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবসম্পদকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলা এ বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- এ বাহিনীর সদস্যগণ বর্তমানে যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানসম্মত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি এটা জেনে অত্যন্ত আনন্দিত যে, সাম্প্রতিক সময়ে এ বাহিনীর কর্মকর্তাগণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসহ দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন।
তিনি বলেন, আমরা ফাস্টট্রাক প্রকল্প গ্রহণ করেছি। গভীর সমুদ্রবন্দর, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেল, আন্তঃদেশীয় রেল প্রকল্প এবং এলএনজি টার্মিনাল এবং নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। আমি বিশ্বাস করি, এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।
প্রধানমন্ত্রী পরে ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, খুলনা এবং রাঙ্গমাটিতে আনসার ব্যাটালিয়ন সদরদফতর কমপ্লেক্স ভবনের নামফলক উন্মোচন করেন। পরে তিনি আনসার সদস্যদের নিয়ে একটি কেক কাটেন এবং তাদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। আনসার-ভিডিপি সদস্যদের তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্পের স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।