পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এহসান আব্দুল্লাহ : বইমেলায় আসা অধিকাংশ দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে প্রচলিত সাধারণ বই। গল্প, উপন্যাস, নাটক, রাজনীতি, ইতিহাস, প্রবন্ধ বা বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা গবেষণাধর্মী বই খোঁজেন সবাই। প্রচলিত পাঠের বাহিরে যেয়ে অনেকেই খোঁজেন ভিন্ন কিছু। ব্যতিক্রম কিছুর স্বাদ পেতে তারা ঢুঁ মারেন বিভিন্ন স্টলে। তেমনি ব্যতিক্রমধর্মী পাঠকদের জন্য রয়েছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের বিভিন্ন বিভাগের স্টল। তেমনি স্টলগুলো হলোÑ ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর’, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর’ ও ‘বাংলাদেশ প্রতœতত্ত্ব বিভাগ’। এসব স্টলে তারা দর্শনার্থীদের জন্য রাখছেন বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাবেকি আমলের নানা তথ্য-উপাত্ত ভিত্তিক নানা সংগ্রহ। মূলত বইমেলায় আসা পাঠকদের বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রীতিনীতি ইত্যাদি সম্বন্ধে ধারণা দিতেই তাদের এই আয়োজন। এসব স্টলগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি-মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতি, যুদ্ধকালীন প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্টকার্ড, ভিউকার্ড, পোস্টার, দেয়ালিকা ও বিভিন্ন দুর্লভ চিত্রসম্বলিত অ্যালবাম। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পাওয়া যাচ্ছে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, বেবী মওদুদ, মুনতাসীর মামুনসহ বিভিন্ন লেখক রচিত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ওপর লেখা বিভিন্ন বই, তার ছবি নিয়ে করা অ্যালবামসহ তার ব্যবহার্য নানা বিষয়। এ ছাড়া তার ছবি নিয়ে তৈরি করা প্লেট, টাইলস, সিডি, ভিসিডি, কলমসহ বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি রয়েছে সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় শীর্ষে। প্রতœতত্ত্ব স্টলে দেখা মেলে বিভিন্ন বিভাগের প্রতœতাত্ত্বিক জরিপ সংক্রান্ত বই ও প্রতœতাত্ত্বিক স্থানসমূহের বিবরণ সম্বলিত গাইড বুক। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের স্টলটি সাজানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির আদলে, আর প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের স্টল সাজানো হয়েছে কান্তিজিউ মন্দিরের আদলে। যা দর্শকদের একটু বেশিই আকর্ষণ করছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর স্টলের বিক্রয়কর্মী মহসিন সরকার বলেন, আমাদের এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী, স্থান ও সেখারকার ইতিহাস সম্বলিত নানা ধরনের গ্রন্থ পাওয়া যাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্টলের বিক্রয়কর্মী হারিছুজ্জামান (স্মারক সংগ্রাহক) বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন পোস্টকার্ড, স্যুভেনিয়র, ও অ্যালবাম আমরা দর্শকদের দিচ্ছি। এ ছাড়াও ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র মালা’ নামে একটি অ্যালবাম পাওয়া যাচ্ছে আমাদের এখানে।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের বিক্রয়কর্মী মো. সজীব (ভিজিটর গাইড) বলেন, বঙ্গবন্ধুর উপর লিখিত বিভিন্ন বই ও তার ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিসের রেপ্লিকা আছে আমাদের কাছে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বইও আমাদের এখানে পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতœতাত্ত্বিক অধিদপ্তর স্টলের বিক্রয়কর্মী হামিদ খান (লাইব্রেরিয়ান) বলেন, আমাদের এখানে আমরা দর্শকদের বিভিন্ন প্রতœতত্ত্ব নিদর্শনের বিবরণ ও ছবি সম্বলিত পোস্টার, ভিউকার্ড, মগ ইত্যাদি সরবরাহ করছি। এ ছাড়াও দর্শকরা এখানে বিভিন্ন জেলার প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের উপর লিখিত বই পাচ্ছেন।
প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের স্টল দেখতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ফেনীর বাসিন্দা মারুফ হাসান চৌধুরী বলেন, এখানে মূলত আমার এলাকার বিভিন্ন প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের সঠিক ইতিহাস জানার জন্য যে কোনো বইয়ের সন্ধানেই আসা। এখানে এসে বিভিন্ন জেলার প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ নিয়ে নানান সংগ্রহ দেখে ভালো লাগছে। এগুলো আমাদের ইতিহাস পাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্টল দেখতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব প্রধান ও শারীফ অনির্বাণ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের উপর বিভিন্ন দলিল দেখা ও সংগ্রহ করার জন্যই মূলত এখানে আসা। আর নিজেদের জন্য কিছু মুক্তিযুদ্ধের সময়কার পোস্টার কিনে নিলাম।
মেলায় কাল নতুন বই এসেছে ৯৬টি এবং ৩১টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।