পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মারা গেছে ৪ হামলাকারীও পাকিস্তানকে দুষলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
ইনকিলাব ডেস্ক : কাশ্মীরে সংঘর্ষে তিনজন ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের নাওপোরা ইয়ারিপোরা এলাকায় গতকাল সকালে শুরু লড়াইয়ের সময় পাল্টা গুলিতে ৪ হামলাকারীও মারা গেছে। হামলাকারীরা হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর সদস্য বলে পুলিশের দাবি। প্রাণ হারিয়েছেন এক বেসামরিক নাগরিকও। ভারতীয় পুলিশ সূত্রের দাবি, ফ্রেসাল গ্রামের একটি বাড়িতে আঁততায়ীদের আত্মগোপন করে থাকার সুনির্দিষ্ট খবর পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও ভারতীয় সেনা সদস্যরা গ্রামটি ঘিরে ফেলেন। সন্দেহজনক বাড়ির দিকে সেনা সদস্যরা এগুতেই শুরু হয় অতর্কিত হামলা। তাদের দিকে গুলি ছুটে আসতে থাকে। জবাব দেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও। এতে এক পুলিশকর্মী গুলিতে জখম হন। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, সংঘর্ষে জখম এক অফিসারসহ তিন সেনা জওয়ানকে শ্রীনগরে সেনার ৯২ বেস হাসপাতালে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের লাশ সংঘর্ষস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে। মুদাসির তাঁতরে, ফারুক আহমেদ দার ও আজহার আহমেদ তাদের নাম। এরা হিজবুলের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি পুলিশের। তাদের কাছ থেকে দুটি রাইফেলসহ আরও অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে। পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এস পি বৈদ্য চার হামলাকারীর গুলিতে নিহত হওয়া নিরাপত্তাবাহিনীর বিরাট সাফল্য বলে ঘোষণা করলেও একইসঙ্গে বলেন, এটাই দুর্ভাগ্যের যে, দু’জন জওয়ানকে প্রাণ দিতে হয়েছে। যে বাড়িতে হামলাকারীরা আশ্রয় নিয়েছিল, তার মালিকের ছেলে গুলির মাঝে আটকে পড়ে জখম হয়ে মারা যায়। একটি সূত্রের খবর, কয়েকজন হামলাকারী গোলাগুলির মধ্যেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এদিকে এদিনের ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। নয়াদিল্লিতে তিনি বলেছেন, এটা আর লুকোছাপার ব্যাপার নয় যে, ভারতের মাটিতে, বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। অজস্র প্রমাণ আছে এর। সূত্র : এবিপি আনন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।