পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে নারীদের নিয়ে প্রথম হ্যাকাথনও ও ন্যাশনাল হ্যাকাথন ফর উইমেন ২০১৭তে সেরা নির্বাচিত হয়েছে নয়টি প্রকল্প। নির্ধারিত নয়টি ক্যাটাগরিতে উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরির জন্য ৩৬ ঘণ্টার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ছিল শুধু নারীদের জন্য।
সেখান থেকেই বেরিয়ে এসেছে অভিনব সব উদ্ভাবন। সেই উদ্ভাবন থেকে সেরা নয় উদ্যোগগুলো হল, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ খাতে অপটিমিস্ট, কৃষি ও পরিবেশ খাতে গ্রিনওয়ার্ল্ড, ব্যবসা ও বাণিজ্যে সিইউ স্প্রিং, দক্ষতা অর্জন ও শিক্ষায় জুবিয়েল গার্ল, সংস্কৃতি ও পর্যটনে ট্রাসপেক্ট ০.২, গণমাধ্যম ও বিনোদনে ইনভিসিবল ফাইটার্স, নগরায়ণ ও সুপরিকল্পিত বাসস্থান খাতে ক্রিস্টোন এবং অধীনতা ও ক্ষমতায়নে মিস্ট কার্ডিনাল উদ্যোগ প্রথম হয়েছে।
এছাড়াও দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা অন্যান্য উদ্যোগগুলোকেও পুরস্কৃত করা হয়েছে।
দেশে নারীদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আগ্রহী করে তোলার জন্য কাজ করা উদ্যোগ উইমেন ইন ডিজিটাল এবং সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ যৌথভাবে প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন করে।
গত শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে দুই দিনব্যাপী এই হ্যাকাথন শুরু হয়। আর শনিবার বিকেলে হ্যাকাথন শেষে সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
নারীদের এই জাতীয় হ্যাকাথনে সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪৭০ নারী প্রাথমিকভাবে অংশ গ্রহণের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেন। কিন্তু সেখান থেকে চূড়ান্ত হ্যাকাথনে অংশ নিতে পারেন ৫২৩ জন। যারা ১৩৭টি দলে বিভক্ত হয়ে নয়টি ক্যাটাগরিতে উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়ন করতে প্রোগ্রামিং করেন।
প্রতিটি ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ হাজার, প্রথম রানারআপ ৩০ হাজার এবং দ্বিতীয় রানার আপ ২০ হাজার টাকা করে পুরস্কার অর্থ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, নারীদের এই হ্যাকাথনের প্রত্যেকটি প্রজেক্টকে ব্যবসায় রূপান্তরিত করতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। এসব উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে নারীদের আরও বেশি করে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
উইমেন ইন ডিজিটালের প্রতিষ্ঠাতা আছিয়া খালেদা নীলা বলেন, বাঙালী নারীর সৃজনশীলতাকে প্রোগ্রামিং ও উদ্ভাবন দেশের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আগামী দিনগুলোতে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে যা আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, বেসিসের সাবেক সভাপতি ও ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের পার্টনার শামীম আহসান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ, উইমেন ইন ডিজিটালের উপদেষ্টা আবদুল খায়ের পাটোয়ারীসহ আরও অনেকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।