Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৯

| প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

৫৫টি কক্ষ ভাঙচুর
চবি সংবাদদাতা : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ৯ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে চবি শাহজালাল হলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হলের ৫৫টি কক্ষ ভাঙচুর হয় বলে জানা যায়। সংঘর্ষে লিপ্ত দুই গ্রুপই চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ।
আহতরা হলোÑ মাকেটিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের মুরাদ রায়হান রনি, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শামিম, বাংলা বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের মো. কাউসারকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।
এ ছাড়াও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তুরকি সরকার ও আল-আমিন। তারা বিশ^বিদ্যালয়ের বগিভিত্তিক সংগঠন ভিক্সের কর্মী। এ ছাড়াও বিশ^বিদ্যালয় বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইনের অনুসারী রিয়াল, রনিসহ আরও দুইজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন চবি ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনছুর আলম। সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে শাহজালাল হলের মূল ফটকে বগিভিত্তিক সংগঠন ভিক্সের কয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইনের কয়েকজন নেতাকর্মীর কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে সিনিয়র নেতাকর্মীরা সমঝোতা করে। কিন্তু সমঝোতার কিছুক্ষণ পর ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এ দুটি গ্রুপ। এসময়  সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা ভিক্সের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে শাহজালাল হল থেকে বের করে দেয়। এসময় ভিক্সের পাঁচজন কর্মী ও সিক্সটি নাইনের চার কর্মী আহত হয়। এদিকে ভিক্সের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে, সিক্সটি নাইনের অনুসারী বেশ কয়েকজন কর্মী শাহজালাল হলে ভেতরে ঢুকে আমাদের ৫৫টি কক্ষ ভাঙচুর ও ১০ লাখ টাকার জিনিসপত্র লুটপাট করেছে। এ ঘটনায়  ভিক্সের নেতাকর্মীরা বর্তমানে চবির শহীদ আব্দুর রব হলে অবস্থান করছে এবং সিক্সটি নাইন চবির শাহজালাল হলে অবস্থান করছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও বগিভিত্তিক সংগঠন ভিক্সের নেতা রেজাউল করিম বলেন, প্রথমে আমরা বিষয়টি সমাধান করলেও তারা সমাধান না মেনে পরিকল্পিতভাবে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করে এবং আমাদের ৫৫টি রুম ভাঙচুর ও জিনিসপত্র লুটপাট করে। এ ঘটনার জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা আমি শুনেছি। তবে কতজন আহত ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে কি-না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত না। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমরা সিনিয়র নেতাদের সাথে বসে সমাধান করার চেষ্টা করছি। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং হলের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ