পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেনাপোল অফিস : যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার নাভারণ এলাকায় বিপ্লব হোসেন (১৮) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা খুন হয়েছেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, জিরেনগাছা গ্রামের আওয়ামী লীগের শাহানুর মেম্বার গ্রুপ ও হাসান মেম্বার গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে সম্প্রতি শাহানুর মেম্বার গ্রুপের লোকজন হাসান মেম্বার গ্রুপের সমর্থকদের মারধর করে। এর প্রতিশোধ নিতে হাসান মেম্বারের লোকজন শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিপ্লবের ওপর হামলা চালায়। তারা লাথি-ঘুষি ও অ-কোষ চেপে বিপ্লবকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তার মৃত্যু হয়।
নিহত বিপ্লব হোসেন জিরেনগাছা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি নাভারণ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও উলাশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
এদিকে, বিপ্লব খুনের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকরা নাভারণ মোড়ে যশোর-বেনাপোল সড়ক অবরোধ করে দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। রাতে তারা গ্রামের কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে।
তারা রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
নিহত বিপ্লবের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের সভায় যাওয়ার কারণে আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় হাসান মেম্বরের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে। আমি তাদের বিচার দাবি করছি।’
নিহত বিপ্লবের মা আমিরন নেছা তার ছেলে খুনে ‘জড়িত’ হাসান মেম্বারের ফাঁসি দাবি করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে থানার ওসি মনিরুজ্জামানসহ পুলিশের একাধিক টিম। খুনিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান ওসি মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‹লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। রোববার সকালেতার লাশের ময়নাতদন্ত যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। বিপ্লব হত্যার প্রতিবাদে রোববার বিকেলে নাভারণ বাজারে অওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নিহতের বাবা নজরুল ইসলাম ১৪ জনকে আসামি করে শার্শা থানায় একটি মামলা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।