Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মার্কিন টহল বিমানের মুখোমুখি চীনা জঙ্গি বিমান

দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা

| প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগরে আবারও উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস-এর এক খবরে বলা হয়েছে, একটি চীনা যুদ্ধবিমান মার্কিন টহল বিমানের কাছাকাছি আসায় এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মার্কিন নেভির পি-৩ বিমান ও চীনের কেজে-২০০ যুদ্ধবিমান দুটি কাছাকাছি অবস্থানে চলে এসেছিল। বিমান দুটি একে অপরের ১০০০ ফুটের মধ্যে চলে এসেছিল। দক্ষিণ চীন সাগরের নিকটবর্তী চীন ও ফিলিপিন্সের মাঝামাঝি স্থানে ঘটনাটি ঘটে। মার্কিন স্পেসিফিক কম্যান্ডের এক বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, চীনা যুদ্ধবিমানটি ‘বিপনজনক’ভাবে মার্কিন টহল বিমানের কাছাকাছি চলে এসেছিল। এই বিমান দুটির রেঞ্চ ছিল তাদের প্রত্যেকের নিজেদের আক্রমণ সীমার মধ্যেই।
গতবছরও এই দুটি দেশের যুদ্ধবিমান কাছাকাছি এসে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তবে এ বছর ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দক্ষিণ চীন সাগর, বাণিজ্য এবং এশিয়ার নেতৃত্বের প্রশ্ন সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়। তারমধ্যে দুই দেশের বিমানের এত মুখোমুখি অবস্থান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, মার্কিন এয়ারক্রাফটটি তাদের প্রাত্যহিক মহড়ায় ছিল। বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন এ বিষয়ে কোন আগ্রহ বা মন্তব্য করেনি। তবে কয়েকদিন আগেই পূর্ব এশিয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে আমেরিকাকে দায়ী করেছিল চীন। চীনের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে সতর্কও করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়টা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মোটেও ভাল যাচ্ছে না। বেইজিংয়ের সঙ্গে টোকিওর চলমান সঙ্ঘাতে আমেরিকা টোকিওকে সমর্থন দেবে এমন খবরে রেগে যায় চীন। এছাড়াও বছরের পর বছর ধরে চলে আসা কূটনৈতিক খারাপ সম্পর্ক তো আছেই। এমন সময়ে আকাশে শত্রুভাবাপন্ন দুই দেশের যুদ্ধবিমান কাছাকাছি চলে আসা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দিয়ে প্রথম ব্রিফিংয়েই হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সিন স্পাইসার দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ‘চীন যদি আন্তর্জাতিক পানিসীমায় দ্বীপ নির্মাণের কাজ শুরু করে এবং ওই অঞ্চল যদি চীনের অংশ না হয়; তাহলে অবশ্যই আমেরিকা একটি দেশের হাত থেকে আন্তর্জাতিক এলাকা রক্ষা করতে যাচ্ছে। আমরা চীনকে প্রথমত যে বার্তা দিতে যাচ্ছি তা হলো, দ্বীপ নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয় বার্তা হবে ওই দ্বীপে আপনাদের আমরা প্রবেশাধিকার দেবো না।’
চীনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য নিয়েও কথা বলেন স্পাইসার। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মার্কিন ব্যবসায়ীদের মাঝে যে উদ্বেগ রয়েছে তা চিহ্নিত করবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন-মার্কিন বাণিজ্যকে একতরফা হিসেবেও ইঙ্গিত করেন সিন স্পাইসার। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং-এর মহড়াকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে। চীনের রাষ্ট্রীয় দৈনিক গ্লোবাল টাইমসের এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে দাবি করা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা সামরিক বাহিনীর মহড়াকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নিতে হবে। সূত্র : ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ