পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার অফিস : কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে আনুমানিক ২০ কোটি টাকা মূল্যের পাঁচ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব। অভিযানে পাঁচ মিয়ানমারের নাগরিকসহ ৯ পাচারকারীকেও আটক করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
এ সময় আটকরা হয়েছে, কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরা এলাকার আবু বকরের ছেলে ইয়াবার মালিক মো. সুলতান আহম্মদ (৪০), খাগড়াছড়ি রামগড় থানার মালবাগান এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (৪৭), উখিয়া কুতুপালং এলাকার নুর মোহাম্মদ এর ছেলে মো. হাবিবুল্লাহ (৩৭) বার্মা, আবদুল্লাহর ছেলে জাহিদ হোসেন (৩০) বার্মা, সৈয়দ হোসনের ছেলে মো. আবদুল হামিদ, লক্ষ্মীপুর রামগতি এলাকার সুজন গ্রামের আবদুল মতলবের ছেলে আব্দুর রউফ (৪৫), মংড়– মুন্সিপাড়ার নুর বশরের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (১৯), আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো. ওসমান গণি (২০) এবং রংপুর মিঠাপুকুরের গয়েশ্বর এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে মো. আ: রাজ্জাক মিয়া (৫৫)।
শনিবার দুপুরে র্যাব-৭ এর কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন জানান, দীর্ঘদিনের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা অনুসন্ধানের ফলশ্রুতিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে মিয়ানমার এবং এ দেশীয় চোরাচালানীদের বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্র মাছের ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সমুদ্রে টহল জোরদার করে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম রুটে অভিযান চালিয়ে ইয়াবার বেশ কয়েকটি বড় বড় চালান আটক করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক সিন্ডিকেট ফিশিং ট্রলারের অন্তরালে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মায়ানমার হতে কক্সবাজারের দিকে যাত্রা করছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাব ৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদ এর নেতৃত্বে একটি চৌকষ দল কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রে একটি মাছ ধরার ট্রলারকে ধাওয়া করে আটক করে। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের একটি দল র্যাবকে সহায়তা করে।
পরবর্তীতে আটককৃত ট্রলার (এফবি জানিবা খালেদা ১) তল্লাশি করে ট্রলারের মাছ রাখার প্রকোষ্ঠের ভিতর সুকৌশলে লুকানো চার লাখ ৫০ হাজার ইয়াবাসহ আটজনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিয়ানমার হতে চার লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বলে জানায়।
তিনি আরো জানান, আটককৃত ইয়াবার মালিক মো. সুলতান আহমদকে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ তার বাসা থেকে আটক করা হয়। সুলতান আহমদ মাছ ব্যবসায়ী। তার দুইটি ট্রলার রয়েছে। মাছ ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।