পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আহত ৩৫ : বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা
ফরিদপুর জেলা ও ভাঙ্গা উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা সীমান্তবর্তী নগরকান্দার গজারিয়া মোড় এলাকায় সিলিন্ডারবাহী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে যাত্রীবাহী হানিফ পরিবহনের একটি (ঢাকা মেট্রো-ব- ১৫-০৩২৩) বাসের সংঘর্ষের পর আগুন ধরে যায়। এতে বাসের জ্বলন্ত আগুনে পুড়ে ১৩ জন বাস যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩৫ যাত্রী। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার গজারিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও নগরকান্দা থানার ওসি এমএইচ নাসিম জানান, একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে হানিফ পরিবহনে যাত্রী বোঝাই একটি বাসের সংঘর্ষে ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। আহত আরও অন্তত ৩৫ জনকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অগ্নিদগ্ধ বেশ কয়েকজনকে ঢাকায় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, হানিফ পরিবহনের বাসটি নড়াইল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ১২ কিলোমিটার আগে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গজারিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন ৩৫ জন। তাৎক্ষণিক মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া যাত্রীদের শনাক্ত এবং হতাহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। দুর্ঘটনায় দুটি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। কভার্ডভ্যানের চালকও মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে বাকিরা বাসের যাত্রী। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল জেলায় বলে প্রাথমিক জানা গেছে।
ফায়ার সাভির্সের সহকারী পরিচালক মমতাজ উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাসের ভেতরে ঢুকে লাশগুলো উদ্ধার করে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে আশংকাজনকভাবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ৮ জনকে মোকসেদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
নিহতদের মধ্যে কাভার্ডভ্যান চালক ও বাসের চালক এবং বাসের একজন যাত্রীর নাম পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। অন্য লাশগুলো আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাদের পরিচয় সম্বন্ধে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিচয়প্রাপ্তরা হলোÑ হেমায়েত হোসেন (৩০), আসাদুজ্জামান (৪০) ও বাস যাত্রী ডা. গোলাম রসুল, তিনি ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে নিহত ও আহতদের খোঁজে ভোর বেলা থেকেই শত শত লোক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ মর্গে এসে ভিড় করেন। সেখানে স্বজনদের আহাজারীতে এক হৃদয়বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। নিহতদের লাশগুলো ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়না তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।