পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার ধামরাই থানার ওসির বাসভবনে একদল পাগলা কুকুরের আক্রমণে বাসভবনে পোষা দু’টি ভেড়া মারা গেছে। কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে বাসার কেয়ারটেকার।
শুক্রবার দুপুরের দিকে ধামরাই থানা কম্পাউন্ডে অবস্থিত ওসির বাসভবনে আক্রমণ করে কুকুরগুলো। ধামরাই থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন, নিধন বন্ধ রাখায় কুকুরের বংশবিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
শনিবার আমার বাসভবনে ঢুকে ভেড়া দু’টিকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে মেরে ফেলেছে একদল কুকুর। এ সময় কুকুরের কবল থেকে ভেড়া দুটো বাঁচাতে গিয়ে আমার কেয়ারটেকার শামসু মিয়াও আহত হয়েছে।
ওসি আরো জানান, শখ করে কালামপুর পশুরহাট থেকে পাঁচ-ছয় মাস আগে ১৬ হাজার টাকা দিয়ে ওই দু’টি ভেড়া কিনেছিলাম। ভেড়া দুটিকে আমি নিজ হাতে গোসল করাতাম ও খাবার দিতাম।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ধামরাই পৌরশহরে পাগলা কুকুরের অস্বাভাবিক উপদ্রব বৃদ্ধ পেয়েছে। এতে ধামরাই পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত ১০ দিনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের আক্রমণে কয়েকজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
ধামরাই পৌরশহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ইসলামপুর মহল্লার বাসিন্দা মো. শহীদুল্লাহ বলেন, কুকুরের উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে, লাঠিসোটা নিয়ে তাড়া করলেও উল্টো কুকুর দলবদ্ধ হয়ে মানুষের দিকে তেড়ে আসে।
এ বিষয়ে ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির মোল্লা বলেছেন, সরকারি বিধি নিষেধ থাকায় কুকুর নিধন অভিযান চালানো যাচ্ছে না। যে হারে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে চলছে তাতে জরুরি ভিত্তিতে এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, আমি নিজেও আতঙ্কগস্ত এবং পৌর শহরে কুকুর বেড়ে যাওয়ায় সড়কে স্কুল- কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করতেও ভয় পাচ্ছে।
ধামরাই থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার অজুহাতে কুকুর নিধন বন্ধ রাখা হলে আশঙ্কাজনক হারে কুকুরের বংশবিস্তার বৃদ্ধি পাবে। আর এতে মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।