পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আজ রোববার আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় সমাবেশ। এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ তার বাণীতে উল্লেখ করেছেন, ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকেই আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর অবদান দেশের ইতিহাসকে মহিমান্বিত করেছে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে এ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রাজধানী থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ বাহিনীর সদস্যরা ছড়িয়ে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী হিসেবে আনসার ভিডিপি’র সদস্যগণ প্রথম এগিয়ে আসেন। সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কলকারখানা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় মোতায়েন থেকে এ বাহিনীর সদস্যরা দক্ষতার সাথে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তা প্রদান, জাতীয় নির্বাচন ও বৃহৎ জনসমাবেশে নিরাপত্তা প্রদানসহ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে এ বাহিনীর কার্যক্রম প্রশংসনীয়। সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, নেতৃত্ব ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আরো কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে উল্লেখ করেছেন, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আনসার বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বাহিনী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আনসার সদস্যগণ মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে অস্ত্রাগারের চল্লিশ হাজার রাইফেল মুক্তিযোদ্ধাদের বিতরণ করেন। ৭১-এর ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার প্রধানকে ১২ জন আনসার সদস্য গার্ড অব অনার প্রদান করেন। ৬৭০ জন আনসার সদস্য মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের জনগণের এবং সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচন, ঈদ, পূজা-পার্বণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দক্ষতার সাথে কর্তব্য পালন করছে এ বাহিনী। আয় বৃদ্ধিমূলক কারিগরি প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।