পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টের সামনেসহ সারাদেশের রাস্তার মোড়ে মোড়ে মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদ এবং অপসারণের দাবীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাসব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচী ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল বিকেলে পল্টন সুরমা টাওয়ারের সামনে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে কর্মসূচী উদ্বোধন করেন দলের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। মাসব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে আলেম, মাদরাসার প্রিন্সিপাল, ইমাম-খতীব, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়। সারা দেশব্যাপী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী বক্তব্যে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, মুসলমানরা মূর্তি মেনে নিতে পারে না। বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈমানকে নষ্ট করার জন্য সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন জায়গায় মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। অবিলম্বে তা অপসারণ করতে হবে। সর্বশ্রেষ্ঠ আইন প্রণেতা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে এসে মূর্তিকে ধ্বংস করেছেন, এমনকি যুগে যুগে নবীগণ মূর্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। মূর্তি স্থাপন ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক। মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো ঈমান। এ ঈমান রক্ষার ক্ষেত্রে মুসলমানগণ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকে। পৃথিবীর কোনো মুসলিম দেশ এমনকি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সামনেও আইন প্রণেতার প্রতীক হিসেবে কোনো মূর্তি ও ভাস্কর্যের অস্তিত্ব নেই। তাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন মেনে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ও নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল আজীজ, মাওলানা জিএম মেহেরুল্লাহ, অফিস ও বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, সহকারী প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা রেজাউল হক, নির্বাহী সদস্য হাফেজ শহিদুর রহমান, মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, মাওলানা আব্দুন নূর, মুহাম্মদ আব্দুর রহীম, মাওলানা জসিম উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা এনামুল হক মূসা, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন ইউসূফ, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদ ও সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ রহমত আলী প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত নির্বাহী কমিটির বৈঠকে উল্লেখিত নেতৃবৃন্দ যোগদান করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করীম জালালী। বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর হযরত মাওলানা হাফেজ শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানদের দেশ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান জাতীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন ইসলাম ও মুসলমানদের ধর্মীয় ঐতিহ্যের উপর চরম আঘাত। এতে দেশের জনগণ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী কুচক্রী মহল জনগণের কাছে সরকারের ভাবমর্যাদা নষ্ট করার জন্য ব্রাহ্মণ্যবাদীদের অনুকরণে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আশা করি, অবিলম্বে মূর্তি অপসারণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যথায় দেশের জনগণ তাদের ঈমান-আকিদা, ধর্মীয় আদর্শ ও ঐতিহ্য রক্ষায় কঠিন কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়বে।
গত শুক্রবার বিকালে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরস্থ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সুলতান মহিউদ্দীন, দফতর সম্পাদক মাওলানা সানাউল্লাহ ও হাফেজ মাওলানা আবুল কাসেম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।