Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মির্জাপুরে শাশুড়িকে খুন করে ফেলে রাখে সেফটি ট্যাংকিতে

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

| প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মির্জাপুর উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিধবা রহিমা বেগম খুনের ঘটনায় আদালতে স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পুত্রবধূর বড় ভাই রোকন (২০)।  শনিবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মুন্সী জানিয়েছেন। এই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার ছাতিহাটি বাজার থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রোকন বাসাইল  উপজেলার তিরঞ্চ গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের সাটিয়াচড়া গ্রামের লিয়াকত আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম নিজ বাড়ি থেকে রহস্যজনভাবে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ১১ দিন পর ২৩ জানুয়ারি রহিমা বেগমের অর্ধগলিত লাশ বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রমতে, গত ২ বছর আগে বিধবা রহিমা বেগমের ছেলে ওয়াসিমের সঙ্গে রোকনের বোন কোকিলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বাশুড়ী রহিমা বেগম কোকিলার ওপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় কোকিলা শ্বাশুড়ী রহিমা বেগমে খুন করার পরিকল্পনা করে। গত ১২ জানুয়ারি বাড়িতে অন্যরা না থাকার সুযোগে কোকিলা  মোবাইল ফোনে তার ভাই রোকনকে ওই বাড়িতে আসতে বলেন। রোকন তার বড় ভাই রোজবেলকে নিয়ে ওই দিন সন্ধায় বোনের বাড়িতে আসেন। রাত ১১টার দিকে দুই ভাই ও বোন মিলে গলায় মাপলার পেঁচিয়ে শ্বাশুড়ী রহিমা বেগমকে শ্বাসরোধ করে খুঁন করে। পরে লাশ বাড়ির সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে রাখে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মির্জাপুর থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে রোকনকে কালিহাতি উপজেলার ছাতিহাটি বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার  রোকনকে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।  
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মরিরুজ্জামান মুন্সী বলেন, জবানবন্দি শেষে রোকনকে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ