পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ কি ব্যর্থ? অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেলেও তা মানতে নারাজ ঢাকায় নিযুক্ত সংস্থার আবাসিক সমন্বয়কারী রবার্ট ওয়াটকিনস। একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলকে তিনি জানান, সব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব জাতিসংঘের একার নয়। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। এ জন্য গড়ে তুলতে হবে আঞ্চলিক ঐক্য। তার মতে, রোহিঙ্গাদের জোর করে নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচরে পুনর্বাসন করা হলে, সংকট আরো বাড়বে।
জাতিগত কোন্দলে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলের মানুষেরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নেন বাংলাদেশে। ৮০-র দশক থেকেই সমস্যাটি দানা বাঁধতে শুরু করে। মানবিক দৃষ্টিতে পালিয়ে আসা এসব মানুষকে এদেশে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে আসছে সরকার। সেই যাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গী জাতিসংঘসহ অন্যান্য দাতা সংস্থাও। সঙ্কট সমাধানে বহুবার উদ্যোগ নিলেও মিয়ানমারকে আলোচনার টেবিলে বসাতে পারেনি জাতিসংঘ। তবে কি ব্যর্থ তারা? জবাবে সংস্থাটির ঢাকার আবাসিক সমন্বয়কারী জানান, সব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব জাতিসংঘের একার নয়।
তিনি বলেন, দেখুন সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব কি জাতিসংঘের একার? সেটা তো হতে পারে না। এক্ষেত্রে দুই দেশকে আগ্রহী হতে হবে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে যা করেছে তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আমরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। সাম্প্রতিক মিয়ানমারের ভয়াবহতা নাড়া দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। সবাই এখন চোখ রাখছে
এই ইস্যুতে। মিয়ানমারকে আলোচনায় বসতেই হবে।
তাঁর মতে, এই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন আঞ্চলিক ঐকমত্য। যা মিয়ানমারের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
রোহিঙ্গাদের নাগরিক জীবন সুবিধা নিশ্চিত করতে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালির ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। তবে তা যেন বন্দুকের মুখে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ এই সমন্বয়কারীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।