পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হবু প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ‘আওয়ামী চেতনার’ বিদায়ী সিইসির চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে আছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একথা বলেন।
তিনি বলেন, এবার যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন, তিনি আওয়ামী চেতনায় কাজী রকিব উদ্দিনের চেয়েও আরো কয়েক ধাপ অগ্রবর্তী। একজন জনতার মঞ্চের মানুষ, উনার বক্তব্যে আচার-আচরণে মনে হচ্ছে দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মীর মতো। তাহলে সেই ব্যক্তি কিভাবে একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করবেন? এই সংশয় তো সারাদেশের মানুষের।
তার (নতুন সিইসি) অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে দেশের মানুষের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হয়নি। তার অধীনে নির্বাচন হলে সেটি ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনই হবে। সুতরাং জনমতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যে সাংবিধানিক পদে তার নাম ঘোষণা হলো,
সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ালে জাতি তাকে স্বাগত জানাবে।
সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ জন থেকে গত সোমবার প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুুল হামিদ পাঁচ সদস্যের যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন তাতে সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে আছেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সাবেক আমলা নূরুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ রুহুল কবির রিজভী বলেন, তার (নতুন সিইসি) অতীত কর্মকা- এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষণার পরপরই তার বিভিন্ন বক্তব্যে তিনি যে কমিটেড আওয়ামী লীগার সেটি ভালো মতো উঠেছে। তার অধীনে নির্বাচন হলে সেটি একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনই হবে।
রিজভী বলেন, বৃহস্পতিবার ফেইস বুকে দেখা গেলো, তার এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যানের একটা কী ভোটাভোটিতে জেতার কারণে মিষ্টি খাওয়া-খাই করছেন। এর আগেও তো আমরা সিইসি দেখিছি, তাদের ব্যক্তিত্ব, তাদের মর্যাদা, তারা এলাকায় কে জিতলো, না জিতলো- এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন না। তারা একটা স্বাধীন ও স্বত্বা অবস্থান নিয়ে থাকেন। উনার আচরণে মনে হয়েছে, দলের একজন কর্মীর মতো।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, বিএনপি গত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছে, এর পরিণাম তাদের যতটা দুর্বল, সংকুচিত করেছে, এলোমেলো করেছে, সেখানে তাদের ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অঙ্গনে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়ার একটা ঝুঁকি রয়েছে। আমি যখন ছাত্র রাজনীতি করি, উনি সিনিয়র ছাত্র নেতা ছিলেন। সামাজিক জীবনে শ্রদ্বেয় মানুষ। কিন্তু একটি প্রবাদ আছে, দ্বৈত্যকুলে প্রলাপ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে তাই মনে হচ্ছে।
তিনিও একই সুর, আওয়ামী লীগে যে ধরন, নির্জলা মিথ্যাচার করা, অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা যা নৈরাজ্যজনক যা কুৎসিত গণতন্ত্রের জন্য সেটার পক্ষে সাফাই গাওয়া সেটাই তিনি করছেন। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেবকে বলতে চাই, একবার আপনার প্রধানমন্ত্রীকে বলুন, গদি ছেড়ে দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে সেই সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে। তাহলেই বুঝা যাবে, কোন দল রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে অপ্রসারিত হয়েছে। কার ভুল হয়েছেÑ বিএনপি না আওয়ামী লীগের সেটি জনগণই বিচার করবে।
সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটন না হওয়ার সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, পাঁচ বছরেও এই হত্যা মামলার রহস্যের উদ্ঘাটন হয়নি। সরকারের অবহেলায় ধামাচাপা দেয়ার চক্রান্তের আবর্তে পড়ে আছে এই মামলাটি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৫ বছরে ৪৬ বার সময় নিয়েও আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে পারেনি।
কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকা-টি এড়িয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে মানুষের মনে এক দীর্ঘ প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। নিশ্চয়ই এর পিছনে রাঘব-বোয়ালরা জড়িত। ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিক সম্পত্তির হত্যাকা-ের ঘটনায় প্রকৃৃত খুনিদের বের করতে না পারা জাতির জন্য লজ্জার। অবিলম্বে সাগর-রুনির প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় নেয়ার জন্য আবারো জোর দাবি জানান তিনি। কেবল সাগর-রুনি দম্পত্তি হত্যাকা-ের ঘটনা নয়, সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষমতাসীনদের হামলা, সংসদে গণমাধ্যমকে আক্রমণ করে সরকারি দলের এমপিদের বক্তব্য প্রদান, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক শিমুল হত্যাসহ নানা ঘটনায় তুলে ধরেন রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদ্যের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর স¤পাদক মুনির হোসেন, মৎসজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।