পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রের যে সবচেয়ে বড় শর্ত আরোপ করি, সবার অংশগ্রহণে সবার মতামতের ভিত্তিতে একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছানো, একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো, আজ জাতীয় জীবনে সেটারই (গণতন্ত্রের) অভাব প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশের সব মহলেই এখন চলছে চাপিয়ে দেয়ার সংস্কৃতি। নতুনরা তাদের মেধা যুক্তির মধ্য দিয়ে এই চাপিয়ে দেয়ার চর্চা পরিবর্তন করবে। এসময় তিনি নতুন প্রজন্মের প্রতি গণতান্ত্রিক চর্চার আহ্বান জানান। গতকাল শুক্রবার শিশু একাডেমির মিলনায়তনে ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশের (এনডিএফবিডি) উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) চেয়ারপারসনসহ বিভিন্ন দায়িত্বে থেকে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করার ‘স্বীকৃতি’ হিসেবে সুলতানা কামাল আজীবন সম্মাননা দেয় এনডিএফ।
সুলতানা কামাল বলেন, বিতর্কের সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে আমরা নিশ্চই এমন একটি আবহ তৈরি করতে পারব, যেখানে হানাহানি ও অন্যের উপরে অত্যাচার করে অন্যায়ভাবে মতামত চাপিয়ে দেয়ার যে প্রবণতা; যেটা আমাদের রাজনীতিতে, সমাজব্যবস্থায়, অর্থনীতিতে ও সংস্কৃতিকে দেখছি- সেটার পরিবর্তন আসবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নিজেকে সবচেয়ে ভাল ও অগ্রসর’ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারলেও গণতান্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় একইভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে না পারায় ‘মনের মাঝে কষ্ট’ রয়ে গেছে বলে জানান এই অধিকারকর্মী। তরুণ তার্কিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিতর্কের মধ্য দিয়ে যে সাধনাটা তোমরা করে যাচ্ছ, তাতে তোমরা পরিবর্তনটা আনতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, তোমরা মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারী। এই মুক্তি কূপমন্ডকতা থেকে মুক্তি, অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্তি, মানুষের উপরে নির্যাতন করার প্রবণতা থেকে মুক্তি, বঞ্চনা থেকে মুক্তি, অবহেলা থেকে মুক্তি, অপমান থেকে মুক্তি, অপমান করার যে প্রবণতা সেটা থেকে মুক্তি। আমি মানুষের অধিকারের জন্য কাজ করি। আমাকে যারা সম্মান করেছেন, তারা মানুষকে সম্মান দিলেন। এ সম্মাননার মধ্য দিয়ে আমি নতুন করে উজ্জীবিত হলাম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী তার্কিকদের বলেন, তোমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ হতে হবে। যারা বিতর্ক করে তারা আলোকিত মানুষ। তারা যুক্তি দিয়ে সকল কূপমন্ডুকতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে এনডিএফবিডির চেয়ারম্যানকে ‘ভয়েস অব ডিবেটর’ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত অন্য অতিথিদেরও সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়। এনডিএফ চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, শিশু একাডেমির পরিচালক আনজির লিটন, লোটেল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক লোকমান হোসেন আকাশ, এনডিএফ মহাসচিব মাহবুবুর রহমান শাকিল বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।