পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে, তাতে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। গতকাল শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এই স্মরণসভার আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে বিএনপি কোনো ফায়দা লুটতে পারবে না। সরকারকে চাপে রাখতে বিএনপি ইসি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে। এটা বিএনপির একটি রাজনৈতিক কৌশল।
নাসিম বলেন, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ বঙ্গভবনে গিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। কোনো ধরনের টু শব্দটি পর্যন্ত হয়নি। তারপরও বিএনপি ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় বিচারপতি লতিফুর রহমান এবং সিইসি এম এ সাঈদকে আওয়ামী লীগের লোক বলে প্রচার করেছিল। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পর্যন্ত যোগদান করেননি।
তিনি আরও বলেন, বিচারপতি লতিফুর রহমান ও এম এ সাঈদ কীভাবে বিএনপিকে ক্ষমতা আনতে সহায়তা করেছে তা দেশের মানুষের অজানা নয়। বিএনপি অতীতের মতো আবারও ইসিকে বিতর্কিত করে ফায়দা হাসিল করতে চায়। তারা কোনো বিষয় সম্পর্কে প্রথমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা হারলে কারচুপির অভিযোগ করে, আর জিতলে কোনো কথা বলে না।
প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নাসিম বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে দেশের সংসদীয় রাজনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা কখনো পূরণ হবে না। জাতি এত দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান আর কখনও পাবে না।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। কারণ সংসদে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এমন দলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে এ সরকার গঠিত হবে। তিনি বলেন, ইসি নির্বাচন পরিচালনা করবে, আর নির্বাচনকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। আর আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে অনুকরণ ও অনুসরণ করার জন্য নবীন সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান কামরুল।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশে যারা জঙ্গিবাদ তৈরি করে গণহত্যার মাধ্যমে বিপ্লব করতে চায়, তাদের সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, আদর্শিকভাবে জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করার জন্য দেশের মানুষের মননশীলতাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত করতে হবে। আর এ লড়াইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো অসাম্প্রদায়িক ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ খুবই প্রয়োজন ছিল।
জোটের সহসভাপতি সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।