Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশকে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার -নজরুল ইসলাম খান

| প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক আমলা কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি পদে নিয়োগ করে সরকার দেশকে ‘অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নজরুল ইসলাম খান। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনে শুধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা না, প্রধান ভূমিকা। এই প্রধান ভূমিকা পালনের জন্য যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন, তাদের জন্য বিতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকা অপ্রয়োজনীয় এবং অনাকাক্সিক্ষত। সরকার দেশকে সেই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখান থেকে উদ্ধার পাওয়ার পথ যে নেই, তা না।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ২০০৬ সালে সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের অধিষ্ঠিত হওয়া এবং তার সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, আপনাদের জানা আছে, বিচারপতি কে এম হাসান যিনি ১৯৮০ সালের পরে আর  কোনো দিন বিএনপি করেন নাই। ২০০৬ সাল মানে ৩৬ বছরের পরে একসময় বিএনপি করেছেন- সেই অভিযোগে তাকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া হয়েছে। তিনি আত্মমর্যাদাশীল মানুষ, তিনি সেই দায়িত্ব গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এখন যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি কী করবেন, সেটা তিনি ভালো বুঝবেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জাতীয়তাবাদী বন্ধু দলের উদ্যোগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এবারের নির্বাচন কমিশন আধ্যাত্মিকতার ফসল হতে পারে কিন্তু জনমতের প্রতিফলন হয়েছে একথা বলা যায় না। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি ও তরিকত ফেডারেশন- তিন জন কমিশনার হয়েছেন ইনাদের নামের তালিকা  থেকে। এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটনার পেছনে অবশ্যই কোনো আধ্যাত্মিক কারণই আছে। সেই কারণ অনুসন্ধান করলে কোনো আধ্যাত্মিক মানুষ পাওয়া যাবে না, ক্ষমতাশালী কোনো মহল পাওয়া  যাবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে খেলাধুলা করা ঠিক হয়নি। কারণ ইসি নির্বাচন পরিচালনার মূল প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করার মূল প্রতিষ্ঠান হলো সে সময়ের সরকার। এই দুইটা যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে, সাহসিকতার সঙ্গে আইন অনুযায়ী কাজ না করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে জনমতের প্রতিফলন হয় না, জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হতে পারেন না, তখন যে সরকার গঠিত হয়, সেই সরকার জনগণের সরকার হয় না।
আমরা একটা গণতান্ত্রিক দল হিসেবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, আমরা জনমতের প্রতিফলন দেখতে চাই, আমরা জনমতের স্বীকৃতি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে। সেই নির্বাচনে যারাই বিজয়ী হবেন, তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন নির্বিঘেœ মর্যাদার সাথে।
সংগঠনের সভাপতি শরীফ মোস্তফা জামান লিটুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ