পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের দায়েরকৃত জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী। গতকাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এই দিন ধার্য করেন। এর আগে গত বুধবার এই আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া। গতকাল তার আইনজীবীরা ওই আবেদনের বিষয়টি জানিয়ে এবং খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি মুলতবির আবেদন করেন। পরে বিচারক আবেদনে সাড়া দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন ও সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে থাকা মামলা দুটিতে নতুন তারিখ দেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আজ আদালতে যাননি খালেদা জিয়া।
পরে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি, বিষয়টি শুনানির অপেক্ষায়। আজকের মতো এই আদালতে শুনানি মুলতবি করা হোক। পরে আদালত এ দিন ঠিক করে দেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন খালেদা। ওই ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতের এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে সুবিচার চান তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত মামলায় আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান খালেদা জিয়া। ওই দিন এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের ধার্য দিনে তিনি এ অনাস্থা জানান। আদালত খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা অনাস্থার আবেদন ও মামলার কার্যক্রম মুলতবির আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ মামলায় আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়।
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সংক্রান্ত মামলার বিচার কাজ চলছে। এ দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।