পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : সার্কের অচলাবস্থার দ্রুত নিরসন চায় শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের জেরে আঞ্চলিক এই সংস্থা অচল হয়ে রয়েছে। পাক-ভারত দ্বন্দ্বকে পাশে রেখে ছোট পরিসরে হলেও আলোচনা চায় তারা, যাতে করে আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে এগিয়ে নেয়া যায়।
শ্রীলঙ্কা জাতীয় নিরাপত্তা স্টাডিজ ইনস্টিটিউট ও শ্রীলঙ্কাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন আয়োজিত একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের আলোচনা সভায় এই আহ্বান জানানো হয়। ভারত-পাকিস্তানের মতভেদের কারণে গত বছর সার্কের ১৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ওই সম্মেলন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে হওয়ার কথা ছিল।
আলোচনায় বক্তারা পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কাশ্মিরের মতো দীর্ঘদিনের সমস্যার কার্যকর সমাধানের জন্য প্রতিবন্ধকতা দূর ও উত্তরণের উপায় বের করতে সার্ক সদস্যদের আহ্বান জানান।
আলোচনায় শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সাঈদ সাকিল হুসাইন বলেন, আমরা আমাদের ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে সংঘাতের কারণে মাদক বিস্তার, পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ুু পরিবর্তনের মতো আসন্ন অনেক বড় বড় উদ্বেগ নিয়ে কাজ করতে পারছি না।
শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা সচিব ও জাতীয় নিরাপত্তা স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান করুনাসেনা হেতিয়ারাচ্চি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লক্ষ্য অর্জন থেকে সার্ক এখনো বহুদূরে।
এ অঞ্চলের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার যৌথ প্রকল্প হাতে নেয়ার কথাও বলেন তিনি।
সভায় কর্পোরেট ও শিল্প খাতে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য এ অঞ্চলের জাতিগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের কথা বলা হয়। এ অঞ্চলে একটি ‘পরিপূরক অর্থনীতির’ কথা বলেন সভার আলোচক ইকরাম সেগাল।
উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুতা ছাড়ার উপর জোর দিতে পরামর্শ দেয়া হয়। সেই সাথে সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে কোনো যুদ্ধে না জড়ানোর পরামর্শও দেয়া হয়।
সভার মুলতবি ঘোষণা করেন সার্কের সাবেক মহাসচিব নিহাল রড্রিগো এবং শ্রীলঙ্কা জাতীয় নিরাপত্তা স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আসাগনা আবেয়াগসেকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।