পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়
বিশেষ সংবাদদাতা : আটকে আছে জরিমানা ছাড়া গাড়ির কর পরিশোধের সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় এরই মধ্যে প্রায় দেড় মাস সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। বিআরটিএ’র কর্মকর্তারাও এ নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন। বিআরটিএ-এর একজন কর্মকর্তা বলেন, গাড়ির মালিকদের অনেকেই সেই সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। জরিমানা ছাড়াই করসহ যাবতীয় বকেয়া পরিশোধের সুযোগ পেলে অনেকেই তা গ্রহণ করবেন। এর আগে ২০১৪ সালে এমন সুযোগ দিয়ে আমরা বেশ সাড়া পেয়েছিলাম। সে বছর ২৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গাড়ির মালিকদের মধ্যে যারা কর খেলাপি, তারা যাতে জরিমানা ছাড়াই তা পরিশোধের সুযোগ পান সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ে। অর্থমন্ত্রী প্রথমে এতে অসম্মতি জানালেও পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে বৈঠক করে মৌখিক সম্মতি জানিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী আবার প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সে প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তÍ দেয়নি অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় তথা বিআরটিএ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কামরুল আহসান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, আমরা প্রস্তাবটি অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি। তবে একটা সিদ্ধান্ত অবশ্যই আসবে। আমরা অপেক্ষায় আছি। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে গাড়ির মালিকদের অনেকেই এই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। তারা বিআরটিএ অফিসে এসে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। মিরপুর বিআরটিএ-এর একজন কর্মকর্তা জানান, জরিমানা ছাড়াই গাড়ির মালিকরা নির্দ্দিষ্ট তারিখের মধ্যে করসহ যাবতীয় বকেয়া পরিশোধ করতে পারবেন বলে পত্রপত্রিকায় এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে গাড়ির মালিকরা অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত আসতে দেরি হওয়ায় এরই মধ্যে অনেকে হতাশ হয়েছেন। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নেয়ার পরামর্শ দিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারব না। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে একজন কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে মতামত চেয়ে এনবিআর-এর কাছে একটি পত্র পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। এনবিআর থেকে মতামত আসার পর অর্থ মন্ত্রণালয় তাতে সম্মতি দিবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ঢাকায় চলাচলরত গাড়ির সংখ্যা কাগজে কলমে ৬ লাখ হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা অনেক কম। অনেক গাড়ি বিকল হয়ে গেছে। কিন্তু এগুলোর নম্বর সরকারি খাতায় আছে। বকেয়া কর ও ফি না দেয়ায় এসব গাড়ির মালিকদের জরিমানার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এ কারণেই মালিকদের এই সুযোগ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এখন অর্থমন্ত্রণালয়ের লিখিত সম্মতিসাপেক্ষে প্রজ্ঞাপন জারি হলেই এটি কার্যকর হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।