Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতকে সহযোগিতার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

| প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে বেসরকারি খাতকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে সরকারি ও বৈশ্বিক সহযোগিতা ছাড়া বেসরকারি খাত এগোতে পারবে না।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম (এপিবিএফ) ২০১৭-এর দ্বিতীয় দিনে গতকাল ‘রিজিওনাল ইন্টিগ্রেশন টু অ্যাচিভ সাসটেইন্যাবল  ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেশনের বক্তরা এ কথা বলেন। যৌথভাবে এই ফোরামের আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশ এবং ইউএনএসকাপ। যাতে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় ‘রিজিওনাল ইন্টিগ্রেশন টু অ্যাচিভ সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেশনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা মো: আজিজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো: আবুল কালাম আজাদ, নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী রোমি গাওচান তাসাকালি, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই ঝাং, আঙ্কটাডের মহাসচিব মুখিসা কিটুই প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) কৃষি খাতের অবদান ছিল ৭০ শতাংশ। এখন তা কমে ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জিডিপিতে শিল্প ও সার্ভিস খাতের অবদান বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কৃষি থেকে বেরিয়ে শিল্প ও সার্ভিস খাতনির্ভর হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে আছে। আশা করি চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারি খাতকে মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। এসডিজির অধিকাংশ গোলই (লক্ষ্য) বেসরকারি খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বেসরকারি খাতের কার্যকরী ভূমিকা ছাড়া এসডিজি অর্জন করা সম্ভব না। আর বেসরকারি খাতকে কার্যকরী ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে সরকারি ও বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং দুর্নীতি কমাতে হবে।  
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, ন্যায়পরায়ণতার (ইন্টিগ্রিটি) ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া নিচের দিকে রয়েছে। এটা কিছুতেই কাম্য নয়। এক সময় দক্ষিণ এশিয়া ন্যায়পরায়ণতায় সব  থেকে ভালো অবস্থানে ছিল।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ, দারিদ্র্যতা, পানি বণ্টন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে সংঘাত নয়, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। দারিদ্র্যতা আমাদের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। এছাড়া পারস্পরিক যোগাযোগ, পাওয়ার, ট্রান্সপোর্ট এসডিজি অর্জনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর পারস্পরিক আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যকর করার ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসডিজি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য একটি লক্ষ্যমাত্রা। এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরের মনিটরিং এবং তত্ত্বাবধান প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড ন্যাশন অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি অব ইএসসিএপি’র আন্ডার সেক্রেটারি  জেনারেল ড. শামসাদ আক্তার বলেন, গ্লোবাল জিডিপিতে প্রাইভেট সেক্টরের অবদান  ৯০ শতাংশ। তাই এসডিজি অর্জনে প্রাইভেট সেক্টরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ