পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশের কাছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে (স্টেট-টু-স্টেট) চুক্তির মাধ্যমে ফসফরিক এসিড ও রক ফসফেট বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন জর্ডানের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী প্রকৌশলী জারুব কুদাহ। তিনি দু’দেশের মধ্যে বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জর্ডান সফররত শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে বৈঠককালে প্রকৌশলী জারুব কুদাহ গতকাল এ প্রস্তাব দেন।
আম্মানে তার দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জর্ডানের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার এবং শিল্পখাতে যৌথ বিনিয়োগের বিষয় নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়। বৈঠকে আমির হোসেন আমু জর্ডানের রক ফসফেট সারের গুণগতমানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, উচ্চ গুণগতমানের কারণে বাংলাদেশে এ সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিবছর জর্ডান থেকে দেড় লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি রক ফসফেট আমদানি করছে। রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় জর্ডান থেকে রক ফসফেট আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশও সম্মত রয়েছে। তিনি এ লক্ষ্যে সফরকালে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রায় দেড় লাখ জনশক্তি জর্ডানে কাজ করছে। এ জনশক্তি জর্ডানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে আরো জনশক্তি আমদানির জন্য জর্ডানি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিকে মন্ত্রী পরে আম্মান চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে জর্ডান এবং বাংলাদেশে যৌথ বিনিয়োগে শিল্প স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়। শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্টীল ম্যানুফ্যাকচারিং, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পেট্রোকেমিক্যালসহ উদীয়মান শিল্পখাতে জর্ডানের উদ্যোক্তারা যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। বৈঠকে তিনি জর্ডানে যৌথ বিনিয়োগে একটি টিএসপি সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
এ সার কারখানায় উৎপাদিত সকল সার বাংলাদেশ ক্রয় করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। জর্ডানের শিল্প উদ্যোক্তারা এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং এটি বাস্তবায়নে তারা এক সাথে কাজ করতে সম্মত হন।
এছাড়া শিল্পমন্ত্রী জর্ডান ফসফেট মাইনস কোম্পানি পিএলসি’র কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে কোম্পানির কর্মকর্তারা তাদের প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত রক ফসফেট ও ফসফরিক এসিডের গুণগতমান সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জর্ডান থেকে গুণগতমানের এসব রক ফসফেট ও ফসফরিক এসিড আমদানির জন্য দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশের আইন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর এ বিষয়ে শীঘ্রই একটি চুক্তি করা হবে বলে তিনি কর্মকর্তাদের জানান। সচিব ফখরুল মাজিদ মাহমুদ, বিসিআইসি’র পরিচালক মো. আব্দুল হাই এবং জর্ডান ফসফেট মাইনস কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।