পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যের বিপরীতে রাজস্ব আয় দিন দিন বাড়লেও ১৯৯০ সালে স্থাপিত রহনপুর এলসি স্টেশনের অবকাঠামোগত কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ভাড়া বাসায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই স্টেশনের কার্যক্রম চলে এলেও এখন পর্যন্ত নিজস্ব অফিস ভবন নির্মাণ, পরীক্ষাগার, ওয়্যার হাউস, কাস্টমস অটোমেশন, ওয়েট ব্রিজ, ডাম্প ইয়ার্ড নির্মিত হয়নি। বিগত ৫টি অর্থ-বছরে রহনপুর রেল বন্দর দিয়ে ৪শ’ ২টি র্যাক ভর্তি মালামাল আমদানি করা হয়। যার ওজন প্রায় ৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪শ’ ৯৪ মেঃ টন। ১ কোটি ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৩৯ টাকার মূল্যের বিপরীতে আদায়কৃত রাজস্ব আয় ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৭২ টাকা। এছাড়া চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে ১ম ৬ মাসে ২২১টি র্যাকযোগে আনা ৫ লক্ষ ২০ হাজার ৩শ’ ৮৭ মেঃ টন মালামালের বিপরীতে পণ্যমূল্য ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি ৪৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৩৯ টাকা। যার আদায়কৃত রাজস্ব ২৩ কোটি ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৫৩ টাকা। চলতি অর্থ বছরের ১ম ৬ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ কোটি ৯১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা। তার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৩ কোটি ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৫৩ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ কোটি ২১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৫৩ টাকা বেশি। এছাড়া শুধু ডিসেম্বর/১৬ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ কোটি ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। তার বিপরীতে আদায় হয়েছে কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ কোটি ১৯ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা বেশি। রহনপুর এলসি স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার আচার্য্য জানান, রহনপুর রেলওয়ে স্থলবন্দর পূর্ণাঙ্গ বন্দরে পরিণত হলে এ এলসি স্টেশনের রাজস্ব আয় দিন দিন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে রহনপুর রেলবন্দরে ইয়ার্ড বৃদ্ধি, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ও ওয়্যার হাউস নির্মিত হলে আমদানি-রপ্তানিকারকরা এ পথে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধি পেলে রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে। এদিকে এ রুটে ভারত থেকে মালামাল আমদানিকারকরা জানান, এ রেল বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দরে রূপান্তর করতে রেলের পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। যা দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ দখলে রয়েছে। এছাড়া রেলের বিভিন্ন সমস্যার কারণে মালামাল যথাসময়ে রেলযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে এখানে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা থাকলে সড়ক পথেও দেশের বিভিন্ন স্থানে মালামাল পাঠানো সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।