পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্য সফরের সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বক্তৃতা দেবার আমন্ত্রণ জানানোর বিরোধিতা করেছেন কমন্স সভারই স্পিকার জন বারকো।
গত সোমবার কমন্স সভায় করা বারকো-র এই মন্তব্য নিয়ে ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা-বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্প এ বছরের শেষ দিকে কোন এক সময় ব্রিটেন সফর করবেন।
বারকো বলেন, তিনি অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আগেও তিনি ওয়েস্টমিনস্টারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষণ দেবার বিরোধিতা করতেন। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তার আপত্তি আরো জোরালো হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, লর্ড ও কমন্স সভায় ভাষণ দেয়াটা স্বতঃসিদ্ধ অধিকার নয়, এটা এমন এক সম্মান যা একজনকে অর্জন করতে হয়।
বারকো আরো বলেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ককে মূল্য দেন। ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে তার কিছু বলার নেই। তবে এই পার্লামেন্টের ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা। বর্ণবাদ ও সেক্সিজমের বিরোধিতার ক্ষেত্রে এবং আইনের সমতা ও স্বাধীন বিচারবিভাগের পক্ষে সম্পর্কে আমার অনুভুতি খুবই জোরালো। এগুলো খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনার বিষয়।
বারকোর বক্তব্যের পর বিরোধী লেবার পার্টি এবং এসএনপির সদস্যরা ওয়েস্টমিনস্টারের রীতি ভঙ্গ করে হাততালি দেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা ছিলেন চুপচাপ।
তাদের কয়েকজন মন্তব্য করেন, বারকো স্পিকারের চিরাচরিত রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার নীতি ভঙ্গ করেছেন।
পরে একজন সাবেক মন্ত্রী বলেন, বারকো নিশ্চয়ই পদত্যাগের খুব কাছাকাছি এসে গেছেন।
আরেকজন এমপি বলেন, স্পিকারের এই মন্তব্য লজ্জাজনক। উচ্চকক্ষ লর্ড সভার স্পিকার বলেছেন, তিনি নিজে এ ব্যাপারে আলাদা বক্তব্য দেবেন।
বিবিসির বিশ্লেষক বলছেন, পার্লামেন্টে স্পিকারের এই বক্তব্য নজিরবিহীন। এর অর্থ হচ্ছে, এ বছরের শেষে ট্রাম্প যুক্তরাজ্য সফরে এলে তাকে পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে ডাকা হবে না। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।