পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে হতাশা
স্টাফ রিপোর্টার : প্রেসিডেন্টের গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বিএনপি বলেছে, এই নিয়োগে ‘প্রধানমন্ত্রীর পছন্দেরই’ প্রতিফলন ঘটেছে। একই সঙ্গে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এম নূরুল হুদার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলটি।
২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, সকল মহল থেকে দাবি ছিলো সার্চ কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত ১০ জনের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে এবং তাদের জীবন বৃত্তান্ত ও কর্ম অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবারহ করা হবে। এই পন্থা অনুসরণ করা হলে প্রক্রিয়াটি কিছুটা হলেও স্বচ্ছতা পেতো। কিন্তু তা করা হয়নি। আমরা নিরাশ ও হতাশ হয়েছি।”
শেষ মুহূর্তে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। এসব সন্দেহের মধ্যে একটি বড় সন্দেহ হলো, কাদের নির্বাচন কমিশনে রাখা হবে, সেটি ছিলো শাসক মহলের পূর্বপরিকল্পিত। সাংবিধানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী দুইটি বিষয় ছাড়া অন্য সব বিষয়ে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করতে পারব। সঙ্গত কারণেই আমরা মনে করতে পারি বর্তমান ইসি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দেরই প্রতিফল ঘটেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একজন বিতর্কিত সাবেক সরকারির কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত কোনো প্রতিষ্ঠান নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। কাজেই এই সিইসির নেতৃত্বে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না। এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমাদের প্রস্তাবের যৌক্তিকতা আরো দৃঢ় হয়েছে।
সিইসি‘র বিষয়ে আপনারা আপত্তি জানাচ্ছেন, অন্যান্য কমিশনারের বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কি? প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সিইসি‘র ব্যাপারে আমরা আমাদের বক্তব্য বলেছি। অন্যান্যদের বিষয়ে আমাদের জাতির সামনে আস্তে আস্তে পরিস্কার হয়ে আসবে। সিইসি সম্পর্কে যদি এই অভিযোগ থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের কী অবস্থা দাঁড়াচ্ছে তা আমরা সকলে বুঝতে পারছি।
বিএনপির তালিকা থেকে কাউকে নেয়া হয়েছি কিনা জানতে চাওয়া হলে ফখরুল বলেন, মাহবুব তালুকদার সাহেবের নাম আমরা দিয়েছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগে আপত্তি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে এম নূরুল হুদা যুগ্ম সচিব হিসেবে চাকরি জীবন শেষ করেন। অতিরিক্ত সচিব ও সচিব হয়েছেন শুধুই কাগুজে। প্রকৃত পক্ষে তিনি একদিনের জন্যও অতিরিক্ত সচিব কিংবা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নাই।
ফলে এসব পদে দায়িত্ব পালনে কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা তার নেই। অভিজ্ঞ সচিব ছাড়া সিইসি নিয়োগের এই ঘটনা অভুতপূর্ব। রাজনৈতিক বিবেচনা ছাড়া এমন হওয়ার কথা নয়।
নুরুল হুদাকে বিএনপি সরকারের আমলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকে সচিব পদ মর্যাদা প্রদানের ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এর ফলে আমাদের দল সম্পর্কে তার (নুরুল হুদা) মনে ক্ষোভ থাকতে পারে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ শাসনামলে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেয়ে তিনি আওয়ামী লীগের প্রতি অনুরাগ পোষণ করতে পারেন।
এই দুই বিপরীত পরিস্থিতির মধ্যে তিনি কতটুকু নিরপেক্ষতা অবলম্বন করবেন, সে ব্যাপারে জনমনে যৌক্তিক প্রশ্ন রয়েছে। একটি নির্বাচন কমিশনের যাত্রার শুরুতে আস্থার সংকট ভবিষ্যতে বড় ধরণের সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৬ সালে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক থাকা কালে নুরুল হুদা বিএনপি সরকারবিরোধী জনতার মঞ্চে একজন সংগঠক ছিলেন। এমন রাজনৈতিক কর্মকা-ে জড়িত হওয়া সরকারি চাকরি বিধির নিদারুণ লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
অন্যদিকে তিনি (নুরুল হুদা) ২০১০-২০১৫ সাল পর্যন্ত মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড নামে সরকারি একটি প্রজেক্ট এর এমডি হিসেবে সরকারের লাভজনক পদে কাজ করেছে। আমরা যে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তাতে আমরা বলেছি, সরকারি চাকরি শেষ লাভজনক পদে অধিষ্ঠিতদের ইসিতে অন্তর্ভুক্ত না করতে। কারণ এজন্য যে, সরকারের অনুগ্রহভাজনদেরই এসব পদে নিয়োগ দেয়া হয়। আমরা চেয়েছিলাম, কারো কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ কিংবা কারো প্রতি ক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি যেন নির্বাচন কমিশনের মতো নিরপেক্ষ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ না পান। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাই হয়েছে।
এসব কারণে স্বাভাবিকভাবে জনমনে জনাব কে এম নুরুল হুদা সম্পর্কে নেতিবাচক উপলব্ধি সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সার্চ কমিটি এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির বিবেচনায় না নেয়া খুবই রহস্যজনক।”
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ গত সোমবার সার্চ কমিটির সুপারিশ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে সাবেক সচিবকে এম নুরুল হুদা এবং কমিশনার হিসেবে সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরীকে নিয়োগ দেন।
আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের পর প্রেসিডেন্ট ইসি নিয়োগে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন। তারা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে নাম প্রস্তাব ও ১৬ জন বিশিষ্ট নাগরিকের সাথে বৈঠক করে ১০ জনের একটি নামের তালিকা প্রণয়ন করেন।
রাত ৯টায় গুলশানে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেড় ঘন্টা বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।
বৈঠকে এলডিপি‘র অলি আহমেদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা নুর হোসাইন কাশেমী, মুফতি আবদুর রব ইউসুফী, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, খেলাফত মজলিশের সৈয়দ মজিবুর রহমান, বিজেপি‘র সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, জাগপা‘র শফিউল আলম প্রধান, এনপিপি‘র ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপি‘র খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ভাসানী ন্যাপের আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম চৌধুরী, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএল‘র সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান সভায় উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, নির্বাচন কমিশন খারাপ-ভালো যা-ই হোক না কেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জনতার মঞ্চের নেতা ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে দুদু একথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন করলে কেমন নির্বাচন হয় তা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেখা গেছে। এ কারণেই একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও যাদেরকে সহযোগী কমিশনার হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের সহায়তা করার জন্য নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার দরকার। যাতে সবার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায়। এর আগে কৃষক দলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শামসুজ্জামান দুদু। ঢাকা মহানগর কৃষক দল এ প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। ঢাকা মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাসির হায়দারের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সহ-সভাপতি এম এ তাহের, নাজিমউদ্দিন আহমেদ নাজিম মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তকদীর হোসেন মো: জসিম প্রমুখ।
যুবদলের কর্মী সম্মেলন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন থানার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মঙ্গলবার দিনব্যাপী নয়া পল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে এক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব। সভায় বক্তব্য রাখেন যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুরতাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।